১২ জেলায় ৩৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি

ভারী বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, কক্সবাজার, লক্ষ্মীপুর, সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ। এতে  ১২ জেলায় ৩৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বন্যার্তদের সহায়তায় পাঁচ জেলায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। পানিতে ডুবে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গত দুই দিনে চার জেলায় মৃত্যু হয়েছে আটজনের।

ঢাকা-ফেনী-চট্টগ্রাম মহাসড়ক উপচে ঢুকছে বানের পানি। আকস্মিক বন্যায় বড় বিপর্যয় দেখা দিয়েছে ফেনীতে। ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ার পর ফেনী পৌর শহরও পানিতে তলিয়ে গেছে। কোথাও হাঁটু, কোথাও কোমর, কোথাও বুকসমান পানি।

মৌলভীবাজারেও হু হু করে ঢুকছে বানের পানি। ধলই ও মনু নদীর বাঁধ ভেঙ্গে রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন জেলার ২১২ টি গ্রামের দেড় লাখেরও বেশি মানুষ।

ঢলের তোড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও আখাউড়ায় কমপক্ষে ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্ধ রয়েছে আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি এবং ইমিগ্রেশন সেবা কার্যক্রম।  হাওরা নদী, কালন্দি খাল ও জার্জি খালের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  বানের পানিতে প্লাবিত অন্তত ৩৬টি গ্রাম।

এদিকে কুমিল্লায় গোমতী নদীর পানি বাড়তে থাকায় ভাঙনের ঝুঁকিতে বেড়িবাঁধ। আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন গোমতী পাড়ের বাসিন্দারা। পরিবার-পরিজন নিয়ে আশ্রয় নেন বেড়িবাধেঁ। ভাঙন ঠেকাতে বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে বালুর বস্তা ফেলে রক্ষার চেষ্টা করছেন স্থানীয়রা।

টানা ভারি বর্ষণে নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। ফেনীর বন্যার পানি মুহুরি নদী হয়ে ঢুকতে শুরু করায় ভয়াবহ বন্যার শঙ্কায় স্থানীয়রা। পানিবন্দি ২০ লাখ মানুষ।