হত্যাকাণ্ডের তদন্তে আগামী সপ্তাহে আসবে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড তদন্তে আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশে আসবে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

গোয়েন লুইস জানান, তদন্তের জন্য আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশে আসবে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন। স্বাধীনভাবে কাজ করবে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন। তদন্তে অর্থায়ন করবে জাতিসংঘ। এ নিয়ে জাতিসংঘ কর্মপ্রক্রিয়া ও পরিধি ঠিক করতে কাজ করছে।

এদিন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আধা ঘণ্টারও বেশি সময় বৈঠক করেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের ফোনালাপের উদ্ধৃতি দিয়ে গোয়েন লুইস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার তদন্ত দলকে সহায়তা করবে।

জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের বাংলাদেশে আসার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মূল বিষয় হলো আমাদের সহায়তা করা, যাতে আমরা তদন্ত ঠিক মতো করতে পারি। যারা শাস্তি পাওয়ার কথা তাদের যেন শাস্তির মুখোমুখি করা যায়। বর্তমান সরকারের অবস্থান খুবই পরিষ্কার। যারা এই অপরাধগুলো করেছে এবং যারা হুকুম দিয়েছে তাদেরকে অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। সে ব্যাপারে জাতিসংঘ সহায়তা করুক সেটি আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত আছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে তাদের আমরা যুক্ত করবো। বাকি বিষয়গুলো তিনটা মিনিস্ট্রি মিলে ঠিক করে নেবে।

তারা স্বাধীনভাবে নিজেদের অর্থায়নে তদন্ত করবেন বলে জানিয়েছেন, সে বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, অর্থায়নই সবকিছু না। তারা স্বাধীনভাবেই করুক। কিন্তু তারা যদি তদন্ত করতে যান তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও তো দেখতে হবে। কাজেই স্বাধীন যতই হোক না কেন আমাদের ওপর নির্ভর তো থাকতেই হবে। এই সরকারও চায় একটি স্বচ্ছ তদন্ত হোক। তার ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা হোক। আমরা পুরোপুরি আইন অনুযায়ী কাজটা করতে চাই।

নিরপেক্ষ তদন্তে সরকার তাতের সহযোগিতা করবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করব অবশ্যই যেন একটি নিরপেক্ষ তদন্ত হয়। তার ভিত্তিতে গ্রহণযোগ্য হয় সারা বিশ্বের কাছে। পরিস্থিতিটা এমন যেকোনো কিছু করতে গেলেই এক ধরনের ক্রিটিসিজম আসতে পারে। তাই আমরা চাইব এটা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে হোক, তাতে আমাদের যা যা সহযোগিতা দরকার তা আমরা করবো।