প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তির দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (৩১ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। বিকেল পৌনে চারটা পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশে চলে এ অবরোধ। এতে দুই পাশে যানবাহনের লম্বা সারি দেখা যায়। অবরোধ চলাকালে ছাত্র অধিকার পরিষদ জাবি শাখার সভাপতি জহির ফয়সাল বলেন, দ্রবমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে আজ মানুষ খেতে পারছে না। মানুষ না খেতে পেরে আত্মহত্যা করছে। দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে প্রতিবেদন করার কারণে সাংবাদিক শামসকে রাতের আঁধারে গ্রেফতার করা হলো। এরকম বাংলাদেশ কি আমরা চেয়েছিলাম? এই স্বাধীনতা কি আমরা চেয়েছিলাম? তাহলে আমরা স্বাধীনতা কবে পাবো? জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সাধারণ সম্পাদক তাপসী দে প্রাপ্তি বলেন, শামস ভাইয়ের নিঃশর্ত মু্ক্তি দাবিতে আজ আমরা এ অবরোধ কর্মসূচিতে এসেছি। তার বিরুদ্ধে যে মামলাটি করা হয়েছে সেটি যেন অতি দ্রুত প্রত্যাহার করা হয়। একইসঙ্গে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের মতো একটি আইন যে আইনে সাংবাদিক, শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সবার মুখ বন্ধ করে ফেলা হয়, সবার স্বাধীনতা হরণ করা হয় সেই আইন বাতিলের দাবিতে আমরা আজ এখানে দাঁড়িয়েছি। তিনি আরও বলেন, আগামী রোববারের মধ্যে যদি শামস ভাইকে মুক্তি দেওয়া না হয়, তাহলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেভাবেই হোক আরও কঠোর কর্মসূচিতে অবস্থান নেবে। অবরোধের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধের খবর জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গিয়েছি যাতে তাদের সঙ্গে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে। সেখানে গিয়ে তাদের রমজানের দিনে জনমানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করতে বলায় তারা সেটি বিবেচনায় নিয়ে অবরোধ উঠিয়ে নিয়েছে। অবরোধের ইস্যুটা যেহেতু রাষ্ট্রীয়, রাষ্ট্রই এটার সমাধান করবে।