সর্বজনীন পেনশনে শিক্ষকদের বয়সের সংশোধনী শিগগিরই

সর্বজনীন পেনশন নিয়ে লাগাতার কর্মবিরতিতে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তবে তারা যেসব বিষয়ে আন্দোলন করছেন অনেকটাই ভুল বুঝাবুঝি কিংবা সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম পুরোপুরি না বুঝার কারণে। তারা যেসব ব্যাখ্যা দিচ্ছেন অঙ্ক কষে দেখা যায় তাদের সে ব্যাখ্যার চেয়ে প্রত্যয় স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কিংবা কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরই লাভ বেশি।

এছাড়া জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের আন্দোলনের একটি যুক্তি ৬৫ বছর বয়স, সেটি নিয়ে খুব শিগগিরই সংশোধনী আসছে।জানতে চাইলে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য (ফান্ড ম্যানেজম্যান্ট) মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উনাদের যেহেতু ঘোষিত অবসর বয়স ৬৫ বছর, কারো সুবিধা আমরা কাটা যায় না। এ ঘোষিত বিষয়ে সরকার সংশোধন করে দেবে। এটাতে যে সংশোধনী আনার প্রয়োজন আমরা দ্রুতই সেটি আনবো। আমরা ইচ্ছা করলেই তো তাদের বয়সসীমা ৬০ এ নামিয়ে আনতে পারবো না, সুতরাং এটি সংশোধন করা হবে। দেশ রূপান্তর

শিক্ষকদের আরেকটি দাবি অর্জিত ছুটির বিপরীতে যে টাকা পাওয়া যায় সেটি প্রত্যয় স্কিমে নেই, তবে পেনশন কর্তৃপক্ষ বলছে সেটি বহাল আছে।

গোলাম মোস্তফা বলেন, কারও অর্জিত ছুটি জমা থাকে তাহলে সে পিআরএল পায়, আর ১৮ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ টাকা পায়। এ দুটি বিষয় প্রত্যয় স্কিমেও বহাল আছে। এই দুটি বিষয় সেখানে নাই দেখে তারা বলছেন। আমার ছুটি জমা থাকলে আমি সেটি পাবো, পেনশনের সঙ্গে সেটিকে লিঙ্ক করার কোনো প্রয়োজন নেই।