সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা চলছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল মহাসপ্তমী। আজ অনুষ্ঠিত হবে মহাঅষ্টমী ও কুমারী পূজা।
রাজধানীসহ সারাদেশে হিন্দু-ধর্মাবলম্বীরা পূজামণ্ডপগুলোতে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় পূজা-অর্চনার মাধ্যমে মহাসপ্তমী উদযাপন করে। দুর্গাভক্তরা দেবীর আরাধনায় পূজামণ্ডপগুলোতে দিনভর ভিড় জমায়।
বৃহস্পতিবার সপ্তমীর সকালে পূজার শুরুতেই দেবী দুর্গার প্রতিবিম্ব আয়নায় ফেলে বিশেষ ধর্মীয় রীতিতে স্নান করানো হয়। এরপর করা হয় নবপত্রিকা স্থাপন। নবপত্রিকার আরেক নাম হলো কলাবৌ স্নান। এছাড়া দেবীর চক্ষুদানের মাধ্যমে দেবী দুর্গার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। পূজা শেষে হাতের মুঠোয় ফুল, বেলপাতা নিয়ে ভক্তরা মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে এবারের পূজার প্রথম অঞ্জলি দেন দেবীর পায়ে। করজোরে কাতর কণ্ঠে জগজ্জননীর কাছে নিজের শাস্তি কামনায় প্রার্থনা করেন ভক্তরা। ঢাকের বাদ্য, কাসর ঘন্টা কিংবা শঙ্খধ্বনিতে দেবীর আরাধনার পাশাপাশি সব কিছুতেই যেনো ছিলো একই আর্তি।
মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে বুধবার শুরু হয় পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব। ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে দেবী বিসর্জনের মধ্যদিয়ে দুর্গোৎসব শেষ হবে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য অনুযায়ি, এ বছর স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে সারা দেশে ৩১ হাজার ৪৬১টি পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর রাজধানীতে পূজা হচ্ছে ২৫২টি মণ্ডপে।
এবছরও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গা পূজা উদযাপনের জন্য রাজধানীসহ সারাদেশে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। পূজামণ্ডপগুলোতে আনসার, পুলিশ ও র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। ঢাকেশ্বরী মন্দির মেলাঙ্গণে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।