বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি

দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যায় মোট ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি ৬৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫২২ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

উপদেষ্টা জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৯ লাখ ৪২ হাজার ৮১১ জন। মৃত্যের সংখ্যা ৭৪ জন। আহত হয়েছেন ৬৮ জন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য নিরুপণ করা হয়েছে। এটা বাড়তেও পারে, কমতেও পারে।

পুনর্বাসন প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা এবং উপজেলা কমিটিও হবে। এ বিষয়টি তারা মনিটরিং ও উদ্যোগগুলো সম্পন্ন করবেন।

বন্যাদুর্গত এলাকায় কৃষকদের দাবি রয়েছে ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তির টাকা যাতে আপাতত না নেওয়া হয়। এ বিষয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছে কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, হ্যাঁ এটা করা হয়েছে। আজকের সভাতেও বলা হয়েছে। তিন মাসের জন্য কিস্তির টাকা রহিত করা হয়েছে। আগামী অক্টোবর পর্যন্ত কৃষকদের কিস্তির টাকা রহিত করা হয়েছে।

একইদিন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ১৯ কোটি টাকার একটি অনুদানের চেক গ্রহণ করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে জমা দেওয়া হবে এ টাকা।

মূলত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক দিনের বেতন থেকে এ টাকা দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত মাসের মাঝামাঝি ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা দেখা দেয় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ১১ জেলায়। বর্তমানে পরিস্থিতি উন্নতি হলেও বন্যা পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি এখনো কাঁটিয়ে উঠতে পারেনি ক্ষতিগ্রস্ত অনেক মানুষ।