প্রাণ রক্ষায় সেনাবাহিনীর আশ্রয়ে ছিলেন ৬২৬ জন, বর্তমানে আছেন ৭ জন

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মন্ত্রী, এমপি, আমলা, রাজনৈতিক নেতা, পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে ৬২৬ জন সেনাবাহিনীর আশ্রয়ে ছিলেন। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ৬১৫ জন স্ব-উদ্যোগে সেনানিবাস ত্যাগ করেছেন।

বর্তমানে ৭ জন সেনানিবাসে আশ্রয়ে রয়েছেন এবং ৪ জনকে অভিযোগ/মামলার ভিত্তিতে, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী সংযোগ পরিদপ্তর- আইএসপিআর।

রোববার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় আইএসপিআর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ০৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়। এ সময় প্রাণনাশের আশঙ্কায় ২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ০৫ জন বিচারক, ১৯ জন অসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, ২৮ জন পুলিশ অফিসার, ৪৮৭ জন পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাসহ সর্বমোট ৬২৬ জনকে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় প্রদান করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় ৬১৫ জন সেনানিবাস ত্যাগ করেছেন, ০৪ জনকে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ/মামলার ভিত্তিতে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে আশ্রয়প্রাপ্ত ০৩ জন তাদের পরিবারের ০৪ জন সদস্যসহ মোট ০৭ জন সেনানিবাসে অবস্থান করছে।‘

আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সকল তথ্যাদি প্রদান করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে সেনাবাহিনী জানায়, মূলত জনরোষ থেকে প্রাণ বাঁচাতে এই আশ্রয়স্থল বেছে নিয়েছেন আশ্রয়প্রার্থীরা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী তাদের আশ্রয় দিয়েছে। পাশপাশি আশ্রয়প্রার্থী কেউ অভিযুক্ত হলে তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো হবে।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান জানায় সেনাবাহিনী। এছাড়া দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের পাশাপাশি বিচার বহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধে নিরপেক্ষ কাজ করছে বলে জানায় তাঁরা। এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা জনসাধারণের পাশে আছে এবং থাকবে বলেও প্রতিশ্রুতি জানায়।

শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর সেনাবাহিনীর কাছে আশ্রিতের সংখ্যা কত এবং তারা কারা এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক কৌতূহল ও আলোচনার দেখা দেয়। এরই প্রেক্ষিতে বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানাল সেনাবাহিনী।