জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। আজ সোমবার জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পিটার সঙ্গে ‘আনঅফিসিয়াল’ নানা কথা হয়েছে বলে জানালেন জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
বৈঠকে রাজনীতি নিয়ে কথা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘রাজনৈতিক বিষয়ে তো কথা হয়েছে, সেইগুলো আনঅফিসিয়াল। মতবিনিময় হয়েছে, সৌজন্য কথাবার্তা হয়েছে। এছাড়া অনেক কথাবার্তা হয়েছে।’
জাপা ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে সংলাপে বসার জন্য চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। এ চিঠির বাইরেও কথা হয়েছে জানান মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত মূলত তাদের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী মন্ত্রী ডোনাল্ড লুয়ের লেখা একটা চিঠি নিয়ে এসেছেন। তিনি চিঠিটা আমাদের পার্টির চেয়ারম্যানকে হস্তান্তর করেছেন।’
জাপা মহাসচিব বলেন, ‘জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দেওয়া চিঠি পড়ে বৈঠকে উপস্থিত সবাইকে জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র সরকার যে এখানে (বাংলাদেশ) অবাধ,সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায় তা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।’
বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জাতীয় পার্টি কী জানিয়েছে— এমন প্রশ্নের জবাবে চুন্নু বলেন, ‘এটা তো আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদেরকে কেন জানাব? বাংলাদেশের জনগণের দাবি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। পিটার হাসের সঙ্গে যে আনঅফিসিয়াল কথাবার্তা হয়েছে তা এখানে (সংবামাধ্যমে) বলার কিছু নেই।’
জাপা মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচন অংশ নেব কিংবা নেব না— এই বিষয়টি এখনো বলি নাই এই কারণে যে, আমরা এখনো অপেক্ষা করছি সরকার একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করবে। মানুষ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। তাহলে আমরা নির্বাচনের বিষয়ে চিন্তা করব। আগামীকাল মঙ্গলবার দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভা দিয়েছি। প্রয়োজনে পরের দিন দলের প্রেসিডিয়ামের মিটিং ডাকব, সেখানে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে একটা সিদ্ধান্তে আসব।’
জাতীয় পার্টি নির্বাচনের প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে জানিয়ে দলটির এ নেতা বলেন, ‘প্রার্থী তালিকা তৈরি করা, পার্টির ইশতেহার— এইগুলো কাজ করে রেখেছি। কিন্তু এখন যেহেতু কয়েক দিন সময় আছে, সরকারও তফসিল ঘোষণা করে নাই, আমরা জেলার নেতাদের কাছ থেকে নির্বাচন বিষয়ে কথা শুনব, তারপর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’