ডিসেম্বরের মধ্যে ১১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ পাচ্ছে সরকার

চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ১১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ পেতে যাচ্ছে সরকার। এরমধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৬০০ মিলিয়ন ও বিশ্বব্যাংক ৫০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেবে।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার এ তথ্য জানান। অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে অর্থ মন্ত্রণালয়।

দাতা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে সরকার কী পরিমান ঋণ সহায়তা প্রতিশ্রুতি পেয়েছে, সংবাদ সম্মেলনে অর্থ উপদেষ্টাকে এমন প্রশ্ন করা হলে তার উত্তর দেন অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার।

তিনি জানান, অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক সহায়তা দিচ্ছে। প্রকৃত যে পরিকল্পনা ছিল তার থেকে অনেক বেশি টাকা পাওয়া যাচ্ছে।

অর্থ সচিব বলেন, ‘‘এডিবি’র সঙ্গে ৬০০ মিলিয়ন ডলার ঋণের নেগোসিয়েশন হয়ে গেছে। ডিসেম্বরের মধ্যে এই অর্থ আমরা পাবো। বিশ্বব্যাংকের ৫০০ মিলিয়ন ডলারের একটি ঋণ নেগোসিয়েশন হয়ে গেছে। এটিও ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা পাবো।’’

তিনি বলেন, ‘‘এই দুটি ঋণের প্রকৃত অঙ্ক ছিল ৩০০ ও ২৫০ মিলিয়ন ডলার। তার মানে দুটিই আমরা ডাবল ডাবল করে পাচ্ছি।’’

অর্থ সচিব বলেন, ‘‘আমরা যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছে, তা বাস্তবায়নের জন্য আইএমএফ’র কাছে অতিরিক্ত সহায়তা চেয়েছি। এর মধ্যে এই বছরে আমরা অতিরিক্ত ১ বিলিয়ন ডলার চেয়েছি। আগামী ৪ ডিসেম্বরে আইএমএফ আসবে এবং তাদের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত হবে।’’

অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানকে নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে আসেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে টানা ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন দুঃশাসন ও স্বেচ্ছাচারিতার অবসান ঘটে। দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ব্যাংক খাত সংস্কারে জোর দেয় নতুন অন্তর্র্বতী সরকার। এই সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুরকে। এরপর ১০টি ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়। তারল্য–সংকটে পড়ে ব্যহত হয় ব্যাংকের স্বাভাবিক লেনদেন কার্যক্রম। বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাত সংস্কারে বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছে ঋণ সহায়তা চায় সরকার।