প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা তখনই সফল হবে যখন দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে, নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এবং আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো সকলে সচেতন থাকবে। তাহলেই আমরা আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে পারব।’
আজ বুধবার কুর্মিটোলা র্যাব সদর দপ্তরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ধন্যবাদ জানাই র্যাবের সব সদস্যকে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন। জঙ্গীবাদ দমনে তারা বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বনদস্যুদের আত্মসমর্পণ করে পুনর্বাসন করেছে র্যাব। জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের নিষ্ক্রিয় করায় মানুষের মনে শান্তি ফিরে এসেছে। র্যাবের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে এটাই আমি আশা করি।’
তিনি বলেন, ‘মাদক, কিশোর গ্যাং সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। অনেক পরিবার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে আমাদের যুব সমাজ। তাদের মেধা নষ্ট হচ্ছে। তাদের কর্মশক্তি নষ্ট হচ্ছে। এই মাদক বিস্তার রোধে র্যাব সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে, যা আরও বেশি কার্যকর করা প্রয়োজন।’
এ সময় রমজানে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ও ঈদে জাল টাকা রোধে ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘রমজানে র্যাবের নজরদারি বাড়াতে হবে। সংযমের এই মাসে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অসংযমী হয়ে ওঠে। এই অসাধু ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘ঈদ এলেই জাল টাকার সরবরাহ বেড়ে যায়। সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। যদিও অভিযান চলছে, তারপরও এদিকে আরও খেয়াল রাখতে হবে। অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের মানুষের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যারা কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে কীভাবে স্যাংশন আসে? তখন বলেছিলাম, স্যাংশন কখনো একতরফা হয় না। প্রয়োজনে আমরাও স্যাংশন দেব।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিগত নির্বাচনে জনগণকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিতে র্যাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অতীতে মতো ভবিষ্যতেও দায়িত্বশীল ও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।’
নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা দেশে গণতন্ত্র দেখতে চায় না, তারা গত নির্বাচন নিয়ে খুশি হতে পারেনি। কিন্তু দেশের মানুষ ও বন্ধুপ্রতীম দেশগুলো এ নির্বাচন মেনে সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে।’