খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি

ক্যান্টনমেন্টের যে বাড়ি থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে বের করে দেওয়া হয়েছিল সেই বাড়ি আবারও তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। আজ শুক্রবার সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি এই দাবি জানান।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘নব গঠিত নির্বাচন কমিশনের ওপর বিএনপি আস্থা রাখতে চায়। কথা বেশি না বলে নির্বাচন কমিশন কাজের মাধ্যমে তাদের সক্ষমতা প্রমাণ করবে। সরকার যে সংস্কার কাজ শুরু করেছে, তা দ্রুত শেষ হবে বলে আমার প্রত্যাশা।’

তিনি বলেন, ‘২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা সেনানিবাসের বাড়ি ছাড়েন খালেদা জিয়া। বিএনপি তখন অভিযোগ করেছিল, বল প্রয়োগের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে সেনানিবাসের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। সেনানিবাসের বাড়ি ছাড়ার পর ওইদিন সন্ধ্যায় গুলশানে নিজ রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে কান্নাজড়িত কন্ঠে খালেদা জিয়া বলেন, ‘‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে তাকে প্রেসিডেন্ট জিয়ার স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি থেকে উৎখাত করা হয়েছে”।

তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া এ দেশের সূর্য সৈনিক। তিনি সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার স্ত্রী। তিনি সেনা দিবসে ক্যান্টনমেন্ট যাবেন, এটাই স্বাভাবিক। সেখানে (সেনাকুঞ্জে) তার যে অনুভূতি বা অভিব্যক্তি দেখেছি, তাতে মনে হয়েছে- একটি পাখিকে বহু বছর পায়ে শিকলবন্দি করে রাখা হয়েছিলো, সে পাখিকে মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।’

দ সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারেরর প্রধান উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টা কিছুদিন আগে বলেছিলেন যে, নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)সহ চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের মাধ্যমে আমরা এর প্রথম পদক্ষেপ দেখলাম। সামনে নির্বাচনী ট্রেন কত দ্রুতগতিতে চলবে, তা আমরা সবাই বুঝতে পারবো। বিএনপি নতুন ইসির প্রতি আস্থা রাখতে চায়। তবে, আমরা ইসিকে কথা কম বলে কাজে বিশ্বাসী দেখতে চাই।

উল্লেখ্য, ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মইনুল রোডের ৬ নম্বর বাড়িতে থাকতেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ২০১০ সালের ১৪ নভেম্বর তাকে ওই বাড়ি থেকে উচ্ছেদ কার্যক্রম চলে। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ ও র‌্যাব খালেদা জিয়ার বাড়ির প্রধান গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় তারা বাড়ির ভেতর ও বাইর থেকে মাইকে বেগম জিয়াকে বের হয়ে আসতে বলেন। বের না হওয়ায় তার রুমে প্রবেশ করে তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে গুলশান কার্যালয়ে পৌঁছে দেন।