‘এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতিকে সরানোর উদ্যোগ সরকারের নেই’

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে পদ থেকে সরানোর বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এখনো কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত মন্তব্যের কারণে ‘মিথ্যাচার ও শপথ লঙ্ঘনের’ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতিরকে সরানোর কোনো উদ্যোগ এখনো সরকার নেয়নি। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর এসব তথ্য জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের বক্তব্য কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল যা বলেছেন, তার সঙ্গে সরকার একমত পোষণ করে। তাহলে রাষ্ট্রপতিকে সরানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।’ সরকার সেন্ট মার্টিনে পর্যটক সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নভেম্বর মাসে পর্যটকরা যেতে পারবেন, কিন্তু রাতে থাকতে পারবেন না। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে প্রতিদিন দুই হাজারের বেশি পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে পারবে না। আর ফেব্রুয়ারি মাসে সেন্ট মার্টিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজে পর্যটক যাওয়া বন্ধ রাখা হবে। এক প্রশ্নের যেভাবে অপূর্ব জাহাঙ্গীর জানান, বছরের অন্যান্য মাসের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। মূলত এ সময়ে পর্যটকদের চাপ অনেক বেশি থাকে সে জন্য এই চার মাসের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব মো. আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, সহকারী প্রেসসচিব নাইম আলী ও সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন। এদিকে আজ মঙ্গলবার বঙ্গভবনের সামনে থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে পদ ছাড়তে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শহীদ মিনারের পাদদেশে গণজমায়েত থেকে এই পাঁচ দফা দাবি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। সম্প্রতি মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি বলেন, তার কাছে শেখ হাসিনার পদত্যাগসংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। এ নিয়ে সোমবার দিনভর নানা বিতর্ক ও সমালোচনা চলে দেশজুড়ে। এর পর থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে রাষ্ট্রপতির পদে তার থাকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সূত্র: কালের কণ্ঠ