হার্দিকের চোখের জলেও নাতাশার প্রতিক্রিয়া নেই!

ভারত বিশ্বকাপ জেতায় আনন্দে কাঁদছিল বিরাট কোহলি-রোহিত-হার্দিক পান্ডিয়াসহ পুরো ভারতীয় দল। আবেগ ধরে রাখতে পারেননি তারা। হাউমাউ করে সতীর্থরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছেন। এমনকি আনন্দে বাঁধভাঙা কান্না ছিল ভারতীয় সমর্থকদের চোখেও। এদিকে হার্দিক পান্ডিয়ারও চোখের জল বুঝিয়ে দিচ্ছিল— কতটা স্বস্তি পেয়েছেন তিনি। ম্যাচ শেষে হার্দিক রোহিত শর্মাকে জড়িয়ে ধরেও কেঁদে ফেলেন।

কিন্তু হার্দিকের সেই চোখের জলেও স্ত্রী নাতাশার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কোথাও নেই তিনি। অথচ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই হার্দিক আর নাতাশার দ্বন্দ্ব নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে সমালোচনা চলে আসছে। তা হলে গতকাল ফাইনাল ম্যাচশেষে হার্দিকের কিছু ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হলে যেখানে দেখা যায়, হার্দিক কাউকে ভিডিওকল করছেন। কাকে ভিডিওকল করলেন তিনি তা অবশ্য জানা যায়নি।

এদিকে নাতাশার ইনস্টাগ্রামে শনিবার ভারতের জয় নিয়েও কোনো পোস্ট আসেনি। না ইনস্টাগ্রাম ওয়ালে না স্টোরিতে— কোথাও নেই নাতাশা। এক্কেবারেই চুপ হয়ে গেছেন যেন হার্দিকপত্নী।

আইপিএল মঞ্চে বারবার বিতর্কিত ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে নাতাশার ইনস্টাগ্রাম পোস্টের কমেন্ট সেকশনে তার বিরুদ্ধে অপমান ও অবমাননাকর মন্তব্যের বন্যা বয়ে যায়। কিন্তু তারপরও মুখ খোলেননি তিনি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। অনেক পরিশ্রম করেছি। কিন্তু সাফল্য পাচ্ছিলাম না। আমার কাছে এটি আরও বিশেষ মুহূর্ত।‘

হার্দিক বলেন, গত ছয় মাসে আমার সঙ্গে অনেক কিছু হয়েছে। কোনো কথা বলিনি, চুপ ছিলাম। জানতাম— ‘যদি পরিশ্রম করে যাই তা হলে একদিন এর জবাব দিতে পারব। সে সুযোগ আমি পাব। একদিন এই দিনটি আসবে।‘

কঠিন সময় এলেও নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস ছিল বলে জানান হার্দিক পান্ডিয়া। তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস ছিল পারব। পরিকল্পনা করে সেটি কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। শেষ পাঁচ ওভারের জন্য বুমরাহ ও বাকি বোলারদের ধন্যবাদ জানাই।‘

হার্দিক বলেন, নিজেকে সবসময় শান্ত রাখার চেষ্টা করেছি। প্রতিটা বলে শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমি সব সময় চাপ সামলাতে ভালোবাসি। এই ম্যাচেও সেই চাপের মধ্যে থেকে জিতেছি।

নির্দ্বিধায় বলা যায়, হার্দিক পান্ডিয়ার শেষ ওভারের বোলিংয়ের সুবাধেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত। তার বোলিংয়ে ৬ বলে ১৬ রানের সমীকরণে দক্ষিণ আফ্রিকার নেয় ৮ রান। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা নিশ্চিত করে ভারত।

এর আগে ২০২০ সালের ৩১ মে বিয়ে করেছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া ও নাতাশা স্ট্যানকোভিচ। সেই বছরের ৩০ জুলাই তাদের প্রথম সন্তান আসে। ছেলে অগস্ত্যকে স্বাগত জানান এ দম্পতি। এরপর ২০২৩ সালে দুজনে সামাজিক বিয়ে করেন উদয়পুরে। খ্রিস্টান আর হিন্দু নিয়মকানুন মেনে তাদের বিয়ে হয়। আইপিএল ২০২৪ সালে হার্দিকের পারফরম্যান্সের জন্য ট্রোলড হয়েছিলেন নাতাশা। আইপিএল ২০২৪-এ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে নাতাশার ইনস্টাগ্রাম পোস্টের কমেন্ট সেকশনে তার বিরুদ্ধে অপমান ও অবমাননাকর মন্তব্যের বন্যা বয়ে যায়।

আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স বিদায় নেওয়ার পরেই শুরু হয়েছে জল্পনা।