সিরিজে সমতায় ফিরতে হলে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের। শারজায় সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্তর ফিফটিতে আফগানিস্তানকে ২৫৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।
টস জিতে আজ ব্যাটিংয়ে নেমে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। তবে দলীয় ২৮ রানের সময় তার ইনিংস থেমে যায়
অবশ্য মোট রানের ২২ রানই করেছেন বাঁহাতি ওপেনার। ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন ১ ছক্কা ও ৩ চারে। ওপেনিং সতীর্থ আউট হওয়ার পর শান্তর সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন সৌম্য সরকার।
তবে থিতু হয়ে ৩৫ রানে সৌম্য বিদায় নিলে তাদের দুজনের জুটি থামে ৭১ রানে।
সতীর্থ না পারলেও অধিনায়ক শান্ত ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি তুলে নেন। ফিফটি করার পথে তৃতীয় মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ৫৩ রানের জুটিও গড়েন। মিরাজ ২২ রানে আউট হলে একাই লড়ে যাচ্ছিলেন শান্ত। তবে ৪১তম ওভারে ভুল করে বসেন তিনি।
নানগেয়ালিয়া খারোতেকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ৭৬ রানে লং অনে থামেন মোহাম্মদ নবীর হাতে ক্যাচ দিয়ে। একই ওভারের পঞ্চম বলে লং অনে ক্যাচ দেন অভিজ্ঞ মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদও।
খারোতের এক ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তখন বিপদে। ১৮৪ রানে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশ ২০০ রান পার করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ জাগে। শঙ্কাটাও স্পষ্ট, এই শারজাতেই যে প্রথম ম্যাচে ১১ রানে ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে বাংলাদেশকে ২৫২ রানের সংগ্রহ এনে দেন এই ম্যাচে সুযোগ পাওয়া জাকের আলী অনিক ও নাসুম আহমেদ।
সপ্তম উইকেটে দ্রুত ৪৬ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য এনে দেন জাকের-নাসুম। ২ ছক্কা ও ১ চারে নাসুম ২৫ রানে আউট হলে শেষটা করেন অভিষিক্ত জাকের। ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে খেলতে নেমে খেলেন ৩৭ রানের ইনিংস। ব্যক্তিগত ১৯ রানের সময় ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান আফগানিস্তানের অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহীদি বল তালুবন্দি করতে না পারলে। ৩ ছক্কা ও ১ চারে ইনিংসটি সাজান উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। আফগানদের হয়ে ২৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার খারোতে।