১৩৮ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম ইকবালের ওপেনিং সঙ্গী হন লিটন দাস। দলীয় ৩২ রানে প্রথম উইকেটের পতন হয়। মার্ক অ্যাডায়ারের বলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বোল্ড হন ১৯ বলে ৩ চার ১ ছক্কায় ২৩ রান করা লিটন। বল তার ব্যাটের কানা ছুঁয়ে শরীরে লেগে স্টাম্পে আঘাত হানে। তিনে নামানো হয় শান্তকে। প্রথম ইনিংসে ‘গোল্ডেন ডাক’ মারা শান্ত ৪ রানের বেশি করতে পারেননি। ম্যাকব্রেইনের বলে স্লিপে খুব কঠিন ক্যাচ নেন বালবার্নি। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি শান্ত। ৪৩ রানে ২ উইকেট পতনের পর উইকেটে আসেন মুশফিক। বাউন্ডারি মেরে তিনি রানের খাতা খোলেন। ৫৫ বলে ৫০ রান আসে বাংলাদেশের। মধ্যাহ্নবিরতির আগে টাইগাররা তোলে ২ উইকেটে ৯২ রান।
এর আগে আজ শুক্রবার ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনে প্রথম ব্রেক থ্রু দেন ইবাদত হোসেন। তার চোখ ধাঁধানো একটা সুইং বল ডিফেন্ড করতে গিয়েছিলেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রেইন। কিন্তু তাকে বোকা বানিয়ে বল স্টাম্পে আঘাত হানে। ১৫৬ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলে ফিরেন ম্যাকব্রেইন। এরপর গ্রাহাম হিউমকে (২) লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি করে আইরিশদের দ্বিতীয় ইনিংসের ইতি টেনে দেন ইবাদত। ২৯২ রানে অল-আউট হয় আয়ারল্যান্ড। ৩৭ রানে এই পেসারের শিকার ৩টি। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া তাইজুল এবার ৪২ ওভারে ১৬ মেডেনসহ ৯০ রানে নেন ৪ উইকেট। অধিনায়ক সাকিব নিয়েছেন ২টি।
ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২১৪ রানে অল-আউট হয়েছিল আয়ারল্যান্ড। জবাবে বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে করেছিল ৩৬৯ রান। সেঞ্চুরি হাঁকান মুশফিকুর রহিম। এছাড়া সাকিব-মিরাজের ব্যাট থেকেও আসে পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস। ১৫৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে আয়ারল্যান্ড। এই ইনিংসে তারা রীতিমতো চমকে দেয় টাইগারদের। অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ২৯২ রানে অল-আউট হয়ে বাংলাদেশকে জয়ের জন্য ১৩৮ রানের টার্গেট দেয়। লরকান টাকার ১০৮ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন। ম্যাকব্রেইন করেন ৭২ রান।