ব্রাজিলকে কাঁদিয়ে প্যারিস অলিম্পিক নারীদের ফুটবল বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হলো যুক্তরাষ্ট্র। ফাইনালের মঞ্চে ১-০ গোলে জয় পায় আসরটির রেকর্ড শিরোপাধারী। এর ফলে খালি হাতেই ফিরতে হলো ব্রাজিল কিংবদন্তি মার্তাকে।
শনিবার পার্ক দেস প্রিন্সেসে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যালি সোয়ানসনের করা গোলটি আগলে রেখে ২০১২ সালের পর মুকুট ফিরে পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মেয়েরা। যেখানে আগে থেকেই অলিম্পিকসে এই ইভেন্টে সর্বোচ্চ চার বারের চ্যাম্পিয়ন যুক্তরাষ্ট্র। এবার ম্যালি, সোফিয়ারা রেকর্ডটাকে তুললেন আরও উঁচুতে।
আর ২০০৮ সালের পর প্রথমবারের মতো এই ইভেন্টের ফাইনালে উঠল ব্রাজিল। কিন্তু এবারও সোনার হাসি সঙ্গী হলো না তাদের। দলটির রেকর্ড গোলদাতা মার্তাকেও অলিম্পিক শেষ করতে হলো আক্ষেপ নিয়ে।
এদিন ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত ব্রাজিল। কিন্তু সতীর্থের থ্রু পাস ধরে লুদমিলার শট আটকান গোলরক্ষক এলিশা নায়ের। চার মিনিট পর যুক্তরাষ্ট্রের সোফিয়া স্মিথের শট ফেরান ব্রাজিল গোলরক্ষক লোরেনা। ষোড়শ মিনিটে জালে বল জড়িয়ে উদযাপনে মেতেছিলেন লুদমিলা, কিন্তু এবার তার হাসি মিলিয়ে যায় অফ-সাইডের পতাকা ওঠায়।
বিরতির পর এগিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। ৫৯তম মিনিটে সতীর্থের থ্রু পাস ধরে বল পেয়ে এক ছুটে বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন সোয়াসোন। এগিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। এর একটু পর লুদমিলাকে তুলে দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা মার্তাকে নামান ব্রাজিল কোচ।
অবশ্য বদলি নামা মার্তা ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। ৮৯তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার শটে চেষ্টা করেছিলেন ‘স্কার্ট পরা পেলে’ খ্যাত এই ফরোয়ার্ড, কিন্তু গোল মেলেনি।
মার্তা প্যারিসের আসরই নিজের শেষ অলিম্পিকস-টুর্নামেন্টের আগেই বলেছিলেন। কিন্তু আসর রাঙাতে পারলেন না ৩৮ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। সোনা জিততে পারেননি, নিজে গোলও পাননি, কার্ডের কারণে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন দুই ম্যাচের, সব মিলিয়ে প্যারিসের আসর তার শেষ হলো চরম হতাশায়।