ফরাসিদের হারিয়ে ইউরোর ফাইনালে স্পেন

ডি বক্সের ডান দিকে বল পান লামিন ইয়ামাল। র‍্যাবিওটকে ফাঁকি দিয়ে সামনের জায়গা নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন। এরপর বাঁ পায়ের চোখ ধাঁধানো শট। বল উড়ে উড়ে যেতে হালকা বাঁক খেয়ে বাম পোস্ট ঘেঁষে খুঁজে নেয় ফরাসিদের জাল। ম্যাচের মাত্র নবম মিনিটে পিছিয়ে পড়া স্পেন সমতা আনে মাত্র ২১ মিনিটে। চোখ ধাঁধানো গোলের সঙ্গে দারুণ এক কীর্তি গড়েন ১৬ বছর ৩৬২ বছর বয়সী ইয়ামাল। বড় কোনো টুর্নামেন্টের (বিশ্বকাপ, ইউরো) সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা এখন তিনি। ভেঙে দেন সর্বকালের সেরা পেলের রেকর্ড। ইয়ামাল জাদুর রেশ না কাটতেই ৪ মিনিট পরে দানি অলমোর গোলে স্পেনের লিড। ডি বক্সের ভেতরে ডান দিকে বল পেয়ে কোনাকুনি আলতো শটে জড়িয়ে দেন জালে। ফ্রান্সকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিশ্চিত করে স্পেন। অথচ অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ফরাসিদের শুরুটা হয়েছিল স্বপ্নের মতো। কিলিয়ান এমবাপ্পেকেও লাগছিল সতেজ। বাঁ দিক থেকে ৯ মিনিটের সময় দারুণ এক ক্রস করেন স্প্যানিশ ডি বক্সে। ডান থাকা কোলো মুয়ানি লাফিয়ে উঠে নিখুঁত হেডে দলকে এগিয়ে দেন। কিন্তু ভাগ্য সহায় ছিল না দলটির। ২৮ বছর পর এই প্রথম বড় কোনো টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে গিয়ে ছিটকে গেলো ফ্রান্স। এই ষষ্ঠবার তারা সেমি থেকে বাদ নিল। সর্বোচ্চ ৮ বার শেষ চার থেকে বাদ পড়ে জার্মানি। এদিকে ইউরোর কোনো আসরে প্রথম দল হিসেবে স্পেন গ্রুপ পর্ব থেকে সেমিফাইনাল পর্যন্ত ৬টি ম্যাচই জিতেছে। ফাইনাল জিতলে হবে ৭টি। ২০০২ বিশ্বকাপে এমন কীর্তি গড়েছিল ব্রাজিল। ফাইনালে স্পেনের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড-নেদারল্যান্ডস ম্যাচের জয়ী দল। শুরুতে গোল হজম করলেও সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় স্পেন। ম্যাচের ৫৯ শতাংশ বল দখলে রাখে তারা। ২টি অন-টার্গেট শটসহ আক্রমণ করেছে ৮টি। বিপরীতে ৩টি অন-টার্গেটসহ ১১বার আক্রমণ করেছে ফ্রান্স।