ফরম্যাট, ভেন্যু কিংবা প্রতিপক্ষ বদলালেও বদলায় না বাংলাদেশের ব্যাটিং দুরাবস্থা। প্রত্যেক ম্যাচেই যেনো একই গল্পের পুনরাবৃত্তি। চলমান ভারত সিরিজেও ব্যতিক্রম হয়নি এর। ভারতের বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যর্থ টাইগারদের ব্যাটিং লাইন-আপ। ভারত যেখানে অনায়াসেই ২২১ রান তুলে নিয়েছে একই পিচে বাংলাদেশ থেমেছে ১৩৫ রানে। আরেএতে ভারত তুলে নিয়েছে ৮৬ রানের বিশাল জয়। এই জয়ে টেস্টের পর বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতে নিলো স্বাগতিকরা।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান করে ভারত। জবাবে ব্যাট করতে ভারতের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি টাইগার ব্যাটারা। যার ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৫ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। আর ভারত তুলে নিয়েছে ৮৬ রানের জয়। এই জয়ে ২-০ তে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিলো স্বাগতিকরা।
বড় লক্ষ্য তাড়া করার ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন পারভেজ হোসেন ইমন ও লিটন দাস। প্রথম দুই ওভারেই তার তুলে নেন ২০ রান। তবে এর পরের ওভারেই ঘটে ছন্দপতন। ১২ বলে ১৬ রান করা ইমন আর্শদীপ সিংয়ের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান সাজঘরে। তার বিদায়ে ২০ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
২০ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন লিটন দাস ও টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে তারাও ব্যর্থ হন নিজেদের জুটিকে বেশিদূর নিয়ে যেতে। দলীয় ৪০ রানে শান্তর বিদায়ে ২০ রানেই ভেঙে যায় এই জুটি।
শান্তর পথ ধরে এরপর একে একে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়। বরুণ চক্রবর্তীর বলে বোল্ড হয়ে ১১ বলে ১৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান লিটন। লিটনের বিদায়ের পরের ওভারেই অভিষেক শর্মার বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান হৃদয়। এই দুই ব্যাটারের দ্রুত বিদায়ে ৪৬ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
৪৬ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। এই জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে বাংলাদেশ। তবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই এই জুটিকে থামান রিয়ান পরাগ। রিয়ান পরাগের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান ১১ বলে ১৪ রান করা মিরাজ। তার বিদায়ে ভাঙে ৩৪ রানের জুটি।
মিরাজের বিদায়ের পরের ওভারেই সাজঘরে ফিরে যান জাকের আলী। ২ বলে মাত্র ১ রান করে মায়াঙ্ক যাদবের বলে ওয়াশিংটন সুন্দরের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন জাকের।
ব্যাটারদের এমন আসা-যাওয়ার মাঝেও এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করেছেন মাহমুদউল্লাহ। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী তা যথেষ্ট ছিল না। ধীরগতির ব্যাটিংয়ে ৩৯ বলে করেছেন ৪১ রান। তাতে একশ ছাড়িয়েছে বাংলাদেশের সংগ্রহ। তার ৪১ রানে ভর করে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৫ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। আর ভারত তুলে নিয়েছে ৮৬ রানের জয়। এই জয়ে ২-০ তে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিলো স্বাগতিকরা।
এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। বাংলাদেশি বোলারদের বোলিং তোপে ৪১ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ভারত। তবে এরপরেই জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান নীতিশ কুমার ও রিঙ্কু সিং। জোড়া ফিফটিতে এই সংস্করণে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২২১ রানের রেকর্ড গড়ে ভারত।