দল জয়ের ধারায় থাকলে অধিনায়কের থেকে আনন্দিত আর কেউ হন না। সেক্ষেত্রে সাকিব আল হাসান এখন নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে সুখী মানুষ। ইংল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশের পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ে সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। টানা চার জয়ে সাকিব নিশ্চিতভাবেই খুশি। তবে, তার খুশির জোয়ার বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। দীর্ঘদিন ধরেই ওপেনিংয়ে আগ্রাসী ক্রিকেট, আক্রমণাত্মক মনোভাবের কথা বলে আসছিলেন সাকিব। রনি ও লিটনের ব্যাটে সাকিবের অপেক্ষা ফুরিয়েছে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দুজনের ৪৩ বলে ৯১ রানের জুটি মন ভরিয়েছে সাকিবের। তাই তো পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে তাদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন অধিনায়ক। ‘আমরা নিশ্চিত ছিলাম না উইকেট কেমন আচরণ করবে। কিন্তু, আমাদের দুজন ওপেনার যেভাবে খেলেছে,তারা ইতিবাচক ছিল। ইনটেন্ট ঠিক ছিল। এটাই আমরা এতদিন চেয়েছিলাম। তাদের জুটিটা আমাদের ম্যাচ সেট করে দিয়েছিল।’ লিটন ও রনির ব্যাটে ভালো শুরু পাওয়ার পর বাংলাদেশ ১৯.২ ওভারে ২০৭ রান করে। লিটন ২৩ বলে ৪৭ রান করে ফিরলেও রনি প্রথম ফিফটি তুলে নিয়ে ৩৮ বলে ৬৭ রান করেন। পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। লিটন বরাবরই আগ্রাসী। দলের চাহিদামাফিক চলে তার ইনিংস। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন রনি। আক্রমাণত্মক ক্রিকেটের পতাকা উড়িয়ে ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৮ বছর পর ফিরেছেন জাতীয় দলে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের ফেরার ম্যাচে ১৪ বলে ২১ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে ৯ ও তৃতীয় ম্যাচে ২২ বলে ২৪ রান করেন। পারফরম্যান্স হিসেবে একেবারেই খারাপ নয়। তবে, আরও ভালো করার সুযোগ ছিল। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তার মধ্যে পেয়েছেন বিশেষ কিছু, যা তার মনে ধরেছে। কোচ তাকে নিয়ে বলেছিলেন, ‘রান আর উইকেটের চেয়ে আমি মানসিকতা বেশি দেখি। পারফরম্যান্সে ওঠা-নামা থাকেই, কিন্তু ক্রিকেটাররা যদি শক্তিশালী মানসিকতার ছাপ রাখে এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে যেভাবে খেলে, সেই মানসিকতা মেলে ধরতে পারে, আমরা সেটিই চাই।’ দলে এখন ম্যাচ উইনার বাড়ছে। রনি ছিলেন আজকের দলের নায়ক। সাকিবের চাওয়া ছিল এমনটাও, ‘হ্যাঁ, এটাই আমরা চাই। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে একজন বা দুজন শুধু অবদান রাখবে, তাহলে কঠিন। আমরা অলরাউন্ড পারফরম্যান্স চেয়েছিলাম। ঠিক এ কারণেই আমরা শেষ চারটি ম্যাচে ভালো করেছি। যারা এখন আসছে, তারা কেউ প্যানিক হচ্ছে না। তারা পরিস্থিতি নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা করে না। তারা শুধু ক্রিকেট খেলতে চায়, উপভোগ করতে চায়। এটাই তারা করে আসছে।’