ইরাককে হারিয়ে কোয়াটার ফাইনালের কক্ষপথে আর্জেন্টিনা

মরক্কোর কাছে শেষ মুহূর্তে সমতার আনন্দ করেও স্তব্ধ হতে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে। মরক্কো সমর্থকদের তান্ডবে ২ ঘন্টা  খেলা স্থগিত থাকার পর  ‘ভার’ -এ  চেক করে অফসাইডে বাতিল করা হয় সেই গোল।

গ্রুপ রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে ১-২ গোলে হারের পর প্যারিস অলিম্পিকে কোয়ার্টার ফাইনালের কক্ষপথে থাকতে ইরাকের বিপক্ষে জয় ছাড়া উপায় ছিল না আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২৩ দলের।

প্রথম ম্যাচে হারের ধাক্কা কাটিয়ে জয়ে ফিরেছে আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয় ম্যাচে ইরাককে ৩-১ গোলে হারাল আর্জেন্টিনা। এই জয়ের ফলে অলিম্পিক্স ফুটবলে কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকল সর্বশেষ বিশ্বকাপ এবং কোপা জয়ী আর্জেন্টিনা।

৪-৪-২ ফরমেশনে ইরাকের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল শুরু করে আর্জেন্টিনা। প্রথম থেকেই ইউলিয়ান আলভারেজকে নামিয়ে দেন কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো। তার ফলও পায় দল। ১৩ মিনিটের মাথায় আলভারেজের পাস থেকে গোলপোষ্টের সামনে দাঁড়ানো থিয়াগো আলমাডা আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন (১-১)।

খেলা বিরতির দিকে এগোচ্ছিল। ঠিক তখনই আর্জেন্টিনাকে ধাক্কা দেন আয়মেন হুসেইন। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমের ৪র্থ মিনিটে গোলপোষ্টের সামনে থেকে হেডে সমতা আনেন আয়মেন হুসেইন (১-১)

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল করা চেষ্টা করতে থাকে আর্জেন্টিনা। কোচ কয়েকটি পরিবর্তন করেন। ফলে আর্জেন্টিনার খেলার গতি বাড়ে। তার ফল পায় তারা। ৬২ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে আবার এগিয়ে দেন লুসিয়ানো গন্ডৌ। কেভিন জেননের ক্রস থেকে দারুণ হেডে লুসিয়ানো গন্ডো গোল করে দলকে এগিয়ে দেন (২-১)।

৮৪ মিনিটের মাথায় দলের তৃতীয় গোল করেন এজ়েকুইয়েল ফের্নান্দেস। ডি বক্সের বাইরে থেকে আলভারেজের পাস থেকে ডান প্রান্ত থেকে তীব্র গতির শটে ব্যবধান বাড়ান তিনি (৩-১)। ১-৩ গোলে পিছিয়ে থাকার পরে আর ফিরতে পারেনি ইরাক। হেরে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।