আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ গাইছিল নতুন দিনের জয়গান। ভারতের বিপক্ষে শুরুতেই এলো হোঁচট। বদলে যাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নামলেও পারফরম্যান্স সেই আগের সুর। এক কথায়, পুরোনো ‘রোগ’।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন ওঠে, টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স কি খারাপের দিকে যাচ্ছে? স্বল্প উত্তরে এমন ধারণা উড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
‘খারাপ হয়েছে যে সেটাও বলবো না। আমার মনে হয় যে, এর থেকে আমরা ভালো দল। শেষ অনেক দিন ধরে এই সংস্করণে আমরা ভালো পারফরম্যান্স করছি না। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি না আমরা এত খারাপ দল।’
চলতি বছর বাংলাদেশ সবশেষ ম্যাচ খেলেছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। আফগানিস্তানকে হারিয়ে সেমিফাইনালের সহজ সুযোগ ছিল। উল্টো তারা হেরে বসে প্রশ্নবিদ্ধ ব্যাটিং করে। সেই ম্যাচ আর এই ম্যাচের ব্যাটিং—আলাদাও নয়। একই মেরুতে দাঁড়িয়ে। এ বছর এখন পর্যন্ত একমাত্র জিম্বাবুয়ের সাথে সিরিজ জিততে পারে বাংলাদেশ। এছাড়া হারতে হয়েছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের মতো দলের বিপক্ষেও। বিশ্বকাপে সুপার এইটে গেলেও সেখানে পারফরম্যান্স ছিল হতশ্রী।
ভারত সিরিজ শুরু করেছে ২০২৬ বিশ্বকাপ নজরে রেখে। গোয়ালিয়রে সেই ছাপ একটুও নজরে পড়ল না। উল্টো পারফরম্যান্সের সূচক যেন নিম্নমুখী। ভারত যেখানে ধুম-ধাড়াক্কা ব্যাটিং করেছে সেখানে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানের ব্যাটে ধার-ই নেই। প্রথমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ পাওয়া এ মাঠের উইকেট নিয়ে কোনো সমস্যা, প্রশ্নট করা হয়েছিল শান্তকে।
বাংলাদেশের অধিনায়ক উইকেট নিয়ে অভিযোগ দিতে গিয়েও দিলেন না, ‘উইকেট স্লো ও লো খুব সামান্য ছিল। এটা মানিয়ে নেওয়ার মতো। কিন্তু আমাদের শুরুতেই অনেক উইকেট পড়ে গেছে। শুরুতে একটা-দুটার বেশি উইকেট পড়ে গেলে পরের ব্যাটারদের জন্য খুব কঠিন হয়। আমার কাছে হারের প্রধান ও মূল কারণ হলো প্রথম ৬ ওভারে একটু বেশি উইকেট পড়ে যাওয়া।’
৩ ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে ১-০ ব্যবধানে। দিল্লিতে সিরিজ বাঁচানোর দ্বিতীয় ম্যাচ ৯ অক্টোবর। শান্ত দেখছেন ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সামনের ম্যাচে ইতিবাচক ক্রিকেট খেলবো। জয়ের জন্য খেলবো। এটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং হবে কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি আমরা এর চেয়ে ভালো পারফর্ম করা দল।’