অলিম্পিকে ডোপিংয়ের কালো থাবা

অলিম্পিক এলেই যেন চোর-পুলিশ খেলা শুরু হয়ে যায় খেলোয়াড় আর কর্তৃপক্ষের মাঝে। শাস্তি নিশ্চিত জেনেও নিষিদ্ধ ড্রাগ গ্রহণ করেন কিছু খেলোয়াড়, বাদও পড়েন অলিম্পিক থেকে। এবারের প্যারিস অলিম্পিকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই নেমে এসেছে ডোপিংয়ের কালো থাবা। গত বছরের এপ্রিলের ডোপ টেস্টে পজেটিভ হওয়ার জেরে এবারের অলিম্পিক মিস করছেন রোমানিয়ার ফ্লোরেন্টিনা ইউস্কো।

গত বছর এপ্রিলে ইউস্কোর ডোপ পরীক্ষা হয়েছিল। সেই সময় শরীরে নিষিদ্ধ ওষুধ ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। দু’টি পরীক্ষাতে ইউস্কো ডোপ করেছেন বলে প্রমাণিত হয়। রিপোর্ট আসার পর রোমানিয়ার অ্যান্টি-ডোপিং সংস্থা এই বছর ১ ফেব্রুয়ারি ইউস্কোকে নির্বাসিত করেছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার সময় উল্লেখ করা হয়নি। ইউস্কো অবশ্য দাবি করেছিলেন যে, তিনি না বুঝেই নিষিদ্ধ ওষুধ কয়েছিলেন। যদিও তার আপত্তি ধোপে টেকেনি।কোর্ট অফ আরবিট্রেসন ফর স্পোর্টে (সিএএস) ঘোষণা করে যে, ইউস্কো না জেনে নিষিদ্ধ ওষুধ খাওয়ার কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি। সেই কারণে দুই বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয়। ওই শাস্তির শুরু ধরা হয়েছে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে। ফলে প্যারিস অলিম্পিক্সে নামা হচ্ছে না ইউস্কোর। কিন্তু চীনা সাঁতারু দলের বিরুদ্ধে ডোপিংয়ের অভিযোগ উঠলেও অনেকেই এবারের অলিম্পিকে অংশ নিয়েছেন!গত এপ্রিলে চীনা সাঁতার দলের ২৩ জন সদস্যের বিরুদ্ধে ডোপ কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনেছিল যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক টাইমস এবং জার্মান টেলিভিশন এআরডি। তিন বছর আগে টোকিও অলিম্পিক চলাকালে চীনের সাঁতারু দলের এই ২৩ জনের শরীরে নিষিদ্ধ হার্টের ওষুধ ট্রাইমেটাজিডিনের উপস্থিতি ছিল বলা জানা যায়। তারপরেও সেই ২৩ সদস্যের মাঝে ১১ জন এবারের অলিম্পিকে অংশ নিয়েছেন, যা নিয়ে চলছে সমালোচনা।চীনা সাঁতারুরা অলিম্পিকে সুযোগ পাওয়ায় অন্যান্য দেশের অ্যাথলেটরাও চটে গেছেন। অস্ট্রেলিয়ার সাঁতারু জ্যাক স্ট্যাবলেটি-কুক জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ডোপ টেস্টে অংশ নেবেন না। সেইসঙ্গে অন্য সাঁতারুদেরও এমন প্রতিবাদে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান এই সোনাজয়ী তারকা।