অলিম্পিকের পদকের খুঁটিনাটি

বৃষ্টিস্নাত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর শুরু হয়ে গেল ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত অলিম্পিক। প্যারিসে ক্রীড়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং জমকালো আয়োজন বসেছে। প্রথম দেশ হিসেবে এবার প্যারিস অলিম্পিকে সোনা জিতেছে চীন। এর আগে কাজাখস্তান পেয়েছিল প্রথম পদক।

এবারের পদকের ডিজাইনে প্যারিস নিজেদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে জানান দিয়েছে। সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে প্রকৃতির ছোঁয়া। পুনরায় ব্যবহার করা যায় এমন পণ্য ব্যবহার করা হয়েছে। যা প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করবে বলে বিশ্বাস করেন সংশ্লিষ্টরা।

পদকের ডিজাইনে রাখা হয়েছে প্যারিসের আইকন আইফেল টাওয়ারের টুকরো। একটি ষড়ভূজ প্রতিটা অলিম্পিক পদকে গ্রথিত আছে৷ সেটি আসলে প্যারিসের আইকনিক আইফেল টাওয়ারের অংশ৷ পদকে ব্যবহার করা হয়েছে আইফেল টাওয়ারের সংস্কার এবং পুনর্ব্যবহৃত প্লাস্টিক। যা স্টেডিয়ামের আসন থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। যা প্যারিস অলিম্পিককে  সবুজতম অলিম্পিক বা গ্রিন অলিম্পিক করে ফেলছে৷ এর কারণ, মানবসৃষ্ট কার্বন নির্গমনের সঙ্গে যুক্ত তীব্র তাপ যা প্রতিযোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

এবারের পদকগুলো ডিজাইন করেছে বিখ্যাত লুইস ভিটন কোম্পানি। ৩২টি ইভেন্টে মোট ১০,৫০০ অ্যাথলেট এবার অলিম্পিকে অংশ নিচ্ছেন। যেখানে পদক থাকবে ৩২৯টি। অলিম্পিকে পদকের মূল্য কেউ অর্থ দিয়ে পরিমাপ করতে পারবে না। যেকোনো অ্যাথলেটের জন্যই এই পদক বিশাল মূল্যের। কিন্তু তারপরও এ পদকের একটা বাজারমূল্য তো আছেই।

তবে প্রতিটি আসরে অবশ্য এর ওজন ভিন্ন হয়ে থাকে। যা কারণে মূল্যও হয় ভিন্ন। ফোবার্সের দেওয়া তথ্যমতে, অলিম্পিকে সোনা পদকের মূল্য ৯৫০ মার্কিন ডলার। ২০১২ লর্ডন অলিম্পিকে সোনা পদকের মূল্য ছিল ৭০৮ মার্কিন ডলার।প্রতিটি সোনা, রূপা এবং ব্রোঞ্জ পদকের ব্যাস ৮৫ মিলিমিটার এবং ব্যাপ্তি ৭.৭ মিলিমিটার থেকে ১২.১ মিলিমিটার পর্যন্ত। সোনায় শতভাগ সোনা দেয়া হয় এমন ধারনা করাও ভুল। খাঁটি রূপার উপর গোল-প্লেটের তৈরি প্রতিটি স্বর্ণ পদকের ওজন ৫৫৬ গ্রাম। যেখানে সোনার পরিমাণ মাত্র ৬ গ্রাম। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির গাইডলাইন অনুযায়ী আয়োজকরা এই পদক তৈরি করেছে।

এছাড়া রৌপ্য পদকে বেশিরভাগই থাকে রূপা এবং আয়রন এবং ব্রোঞ্জ পদকে থাকবে কপার, কিছু জিংক এবং আয়রন।