সারা দেশে ১৫ দিনে গ্রেপ্তার ১১ হাজার

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারা দেশে সহিংসতার অভিযোগে গত ১৫ দিনে প্রায় ১১ হাজার সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে শুক্রবার পর্যন্ত করা পাঁচ শতাধিক মামলায় এদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্রসিকিউশন বিভাগের তথ্য অনুসারে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে রাজধানীতে ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা, চুরি, অগ্নিসংযোগ, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে এ পর্যন্ত ২৭৪টি মামলায় তিন হাজারের বেশি সন্দেহভাজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর মধ্যে অন্তত ৫৩টি হত্যা মামলা। এসব মামলায় ১৭ জুলাই থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত তিন হাজার ১১ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে জানা যায়, আন্দোলনের নামে সহিংসতায় যাত্রাবাড়ীতে সর্বাধিক ১৬টি হত্যা মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া কদমতলীতে চারটি, বাড্ডায় পাঁচটি, ভাটারায় তিনটি, পল্টন ও নিউ মার্কেটে ছয়টি, রামপুরা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর ও কাফরুলে দুটি করে এবং খিলগাঁও, গুলশান, বনানী, ধানমণ্ডি, হাতিরঝিল, উত্তরা পশ্চিম ও পূর্ব থানায় একটি করে হত্যা মামলা করা হয়।

এর মধ্যে পুলিশ হত্যা মামলার সংখ্যা তিন।
নীলফামারীতে গ্রেপ্তার ২
নীলফামারীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সহিংসতার ঘটনায় করা মামলায় গতকাল শনিবার দুজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। নীলফামারী সদর থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।

বকশীগঞ্জে বিএনপির সভাপতিসহ গ্রেপ্তার ৩
জামালপুরের বকশীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সহিংসতার ঘটনায় গতকাল দুটি মামলা হয়েছে।

এই মামলা দুটিতে বকশীগঞ্জ বিএনপির সভাপতি মমতাজুর রহমানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাগাতিপাড়ায় ১৬ জন গ্রেপ্তার
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি ও জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করে গতকাল আদালতে পাঠিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।