বীরগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় শিক্ষক গ্রেপ্তার

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ১০ম শ্রেণির মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক মৌলভী শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত ওয়াজেদ আলী (৩৫) খানসামা উপজেলার পাকেরহাট ফকিরপাড়া এলাকার আব্দুল রাজ্জাকের ছেলে।
ধর্ষক পৌর শহরের সাহেব পাড়ার প্রোগ্রেস টিউটরিয়াল হোম কোচিং সেন্টার এবং ইব্রাহীম মেমোরিয়াল শিক্ষা নিকেতনের প্রাথমিক বিভাগের মৌলভী শিক্ষক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রোগ্রেস টিউটরিয়াল হোমে প্লে থেকে পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের কোচিং করাতো ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
সেই সুবাদে মাসিক বেতন দেওয়া হবে জানিয়ে আসামী ওয়াজেদ আলী ২৬ আগস্ট আনুমানিক সকাল ৯ টায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে আসতে বলে।
ঐ সময় কোচিং সেন্টারে কোন শিক্ষার্থী না থাকার সুযোগে কোচিং সেন্টারের পাশের রুমে বসতে বলে।
কথা মতো ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী পাশের রুমে বসা মাত্রই আসামী ওয়াজেদ আলীর মেইন গেটের দরজা বন্ধ করে দেয়।
পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী দরজা বন্ধ করার কারণ জিজ্ঞাসা করলে বেশী চিৎকার চেঁচামেচি করলে ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে।
তাৎক্ষনিক ওই শিক্ষার্থীর ধর্ষণ করার উদ্দেশ্যে ওয়াজেদ আলী তার পরনের কাপড় খুলে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা বাদি হয়ে বীরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ১৭, ২৬-০৮-২০২৪ইং।
এ ব্যাপারে বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান জানান, ১০ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে তার মায়ের করা মামলায় ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।