প্রেমঘটিত দ্বন্দ্বে ব্যবসায়ীকে ৭ টুকরা, প্রেমিকা গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচল উপশহরের একটি লেক থেকে উদ্ধার হওয়া ৭ টুকরো মরদেহের পরিচয় মিলেছে। তার নাম জসিম উদ্দিন মাসুম। পেশায় তিনি গ্যামেন্টস ব্যবসায়ী। প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে সেরা করদাতা পুরস্কার পাওয়া এ ব্যবসায়ীকে হত্যার পর ৭ টুকরো করা হয় বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় রুমা আক্তার নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত রুমা আক্তারের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি, হেসকো ব্লেড, সাফারি ও স্যু উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার। এর আগে বুধবার সকালে উপজেলার পূর্বাচল উপ-শহরের ব্রাক্ষ্মনখালী লেক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার জানান, গত বুধবার সকাল ৯টার দিকে খবর পাওয়া যায়- পূর্বাচল উপশহরের ৫নং সেক্টরের লেকের পাড়ে বস্তাবন্দি অবস্থায় অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ পড়ে আছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান বস্তায় অজ্ঞাত পুরুষের বিচ্ছিন্ন মাথা, দুইটি হাত, বিচ্ছিন্ন দুটি পা, বিচ্ছিন্ন বুকের পিছনের অংশ, ধারালো অস্ত্র ধারা বিচ্ছিন্ন পেটের ভুড়িসহ দেহের অন্যান্য অংশ একটি সাদা পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় পড়ে আছে। সেগুলো নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। পরে এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় ও আশপাশের অন্যান্য জেলা মেট্রোপলিটন ভিকটিমকে শনাক্তের জন্য ফ্যাক্স বার্তা বেতার প্রেরণ করা হয়। পরে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করে জানা যায়- তার নাম জসিম উদ্দিন মাসুম। তিনি একজন ব্যবসায়ী। ঘটনার ব্যাপারে জসিম উদ্দিন মাসুমের গাড়িচালক মালেক মিয়ার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় পুলিশের একটি টিম সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তা পর্যালোচনা ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সন্দিগ্ধ আসামি শনাক্ত করা হয়।

পরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত রুমা আক্তারকে রাজধানীর কাফরুলের শেওড়াপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রুমা আক্তারকে নিয়ে তার তথ্য দেওয়া মতে অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাপাতি, একটি হেসকো ব্লেড, ব্যবসায়ী জমিম উদ্দিন মাসুমের পরনের সাফারি, এক জোড়া জুতা উদ্ধারপূর্বক জবানবন্দি নেওয়া হয়।

এসপি বলেন, ওই নারীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়- প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।