নওগাঁয় জাল সনদ ব্যবহার করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি নেওয়া ২০ শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা করেছেন আদালত।
এ বিষয়ে জাগো নিউজে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে মামলাটি করেন নওগাঁর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আহমেদ। আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে সোমবার (১৮ নভেম্বর) ‘জাল সনদে চাকরি করে সরকারি বেতন তুলছেন নওগাঁর ১০ শিক্ষক’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ।আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবু হাসানাত নয়ন জানান, প্রকাশিত প্রতিবেদনটি নজরে এলে ওই ঘটনার বিস্তারিত জানতে ম্যাজিস্ট্রেট প্রাথমিক অনুসন্ধান করেন। এরপরই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানদের উদাসীনতা লক্ষ্য করা যায়। এটিকে সমাজে অব্যবস্থাপনার চিত্র হিসেবে মনে করেছেন আদালত।তিনি বলেন, জাল সনদ তৈরি করে আসল হিসেবে ব্যবহার ও সরকারি টাকা প্রতারণাপূর্বক আত্মসাতের বিষয়টি আমলযোগ্য ও জামিন অযোগ্য অপরাধ। তাই সার্বিক পর্যালোচনায় এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে ওই ২০ শিক্ষককে আসামি করে ফৌজদারি মামলা করেছেন। সেইসঙ্গে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যুর আদেশের অনুলিপি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর পাঠিয়েছেন।
এ বিষয়ে নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরিয়োনা জারির পর থেকেই তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে। খুব শিগগির প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।নওগাঁর জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল বলেন, জাল সনদে চাকরি নেওয়া শিক্ষকদের বিষয়টি শিগগির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।