সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ আওয়ামী লীগ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের অনেকের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা থাকলেও বেশির ভাগই ধরাছোঁয়ার বাইরে। মধ্যম সারির নেতারা গ্রেপ্তার হলেও শীর্ষস্থানীয়রা কোথায়? দেশে নাকি বিদেশে পালিয়ে গেছেন– সেই প্রশ্ন যখন জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছিল তখন কলকাতার একটি পার্কে দেখা গেছে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ বেশ কয়েকজনকে।
যার নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নজিরবিহীন দমনপীড়ন চালানো হয়েছে সেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। তিনি কীভাবে দেশ ছেড়ে পালালেন? জানতে চাইলে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (চলতি দায়িত্বে) মো. শাহ আলম বলেন, “আমি গণমাধ্যমের খবরে দেখেছি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজনকে কলকাতার একটি পার্কে দেখা গেছে। তারা কীভাবে গেছেন সে তথ্য ইমিগ্রেশন পুলিশে নেই।”
শাহ আলম বলেন, “এতটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ যাদের দেখা গেছে তারা কেউ ইমিগ্রেশন ক্রস করেননি। ইমিগ্রেশনে তাদের দেশত্যাগের কোনো তথ্য নেই।”
তাহলে কীভাবে গেলেন– এ প্রশ্নে পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধান শাহ আলম বলেন, “ইমিগ্রেশনে যেহেতু তথ্য নেই, অবশ্যই অবৈধপথে গেছেন। হেঁটে যেতে পারেন, গাড়িতেও যেতে পারেন, স্থলপথেও অবৈধভাবে সীমান্ত পার হতে পারেন।”
একই প্রশ্ন করা হলে র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইং পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস বলেন, তাদের কাছেও এ ধরনের কোনো তথ্য নেই।
মঙ্গলবার বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ক্যামেরায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কয়জনকে কলকাতার ইকো পার্কে দেখা গেছে। আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাড়াও সেখানে সাবেক সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, অপু উকিল ও হাজী সেলিমের এক ছেলে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
কীভাবে দেশ ছেড়ে পালালেন তারা?
কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংস্থার লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, “আমাদের কাছে এরকম কোনো তথ্য নেই। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈধভাবে গেছেন নাকি অবৈধভাবে গেছেন সে সম্পর্কে র্যাবের কাছে কোনো তথ্য নেই। এখানে র্যাবের কোনো ধরনের উদাসীনতা বা গাফিলতির বিষয় নেই। আমাদের যে দায়িত্ব ও কর্মপরিধি সে অনুযায়ী সর্বোচ্চ কাজ করে যাচ্ছি।”