পাপুয়া নিউ গিনিতে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার ভোরে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির তীব্রতা ৭ দশমিক ২ ছিল বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি)। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। বর্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ৪ মিনিটে ভূমিকম্পটি ইস্ট সেপিক প্রদেশের রাজধানী ওয়েওয়াকের ৯৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে চামব্রি হ্রদের ৮০ কিলোমিটার (৪৯.৭১ মাইল) গভীরে ভূমিকম্প সংঘঠিত হয়।
তবে, মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানায়, নিউ গায়েনায় ৭ মাত্রার ভূমিকম্প সংগঠিত হয়েছে। এর গভীরতা ছিল ৬২.৬ কিলোমিটার।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর কোনো সুনামি সতর্কতা নেই।
প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের বিবরণ তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। ইউএসজিএস অনুমান করেছে, ৪৫ লাখ মানুষ এ ভূমিকম্প অনুভব করতে পারেন, যার মধ্যে সাড়ে ৪ লাখ মানুষ মানুষ ‘শক্তিশালী’ কম্পন অনুভব করতে পারেন।
ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে প্রায় ২৪৯ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণাঞ্চলীয় হাইল্যান্ড প্রদেশের একজন বাসিন্দা একে ‘শক্তিশালী’ ভূমিকম্প উল্লেখ বলেছেন, এটি প্রায় ৪৫ সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল।
‘প্যাসিফিক রিং অফ ফায়ার’-এ অবস্থিত দেশটিতে ভূমিকম্পে বড় ধরনের ক্ষতির পরিমাণ কম। কারণ এ অঞ্চলের কাঠামো হালকা ও নমনীয়। তবে পাপুয়া নিউ গিনির ভূমিকম্প বড় ধরনের ভূমিধস ঘটাতে সক্ষম।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে পাপুয়া নিউ গিনিতে একটি ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে কমপক্ষে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর ২০১৮ সালে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।