বাশার আল আসাদের পতনের পর সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় তারা সিরিয়ায় ৪৮০টি হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে ১৫টি নৌযান, বিমান-বিধ্বংসী ব্যাটারি এবং বেশ কয়েকটি শহরে অস্ত্র উৎপাদনকারী কেন্দ্রও আছে। খবর আল জাজিরার।
ইসরায়েল বলছে, আসাদ সরকারের পতনের পর অস্ত্র যাতে ‘উগ্রপন্থীদের হাতে চলে না যায়’ সেজন্য তারা পদক্ষেপ নিয়েছে।
এদিকে সিরিয়ার তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-বশির বলেছেন, সিরিয়ানদের স্থিতিশীলতা প্রয়োজন।
মোহাম্মদ আল-বশির বলেছেন, তিনি আসাদের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে পাবলিক সার্ভিস এবং প্রতিষ্ঠান পুনঃস্থাপনের জন্য কাজ করছেন।
সিরিয়ার বিরোধী যোদ্ধারা বলছে, তারা সিরিয়ার কুর্দি বাহিনীর কাছ থেকে উত্তর-পূর্ব শহর দেইর আজ জোর দখল করেছে।
আহমেদ আল-শারা, হায়াত তাহরির আল-শামের নেতা সিরিয়ার পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এদিকে বাশার আল আসাদের পতনের পর সিরিয়ার ওপর হামলা শুরু করায় আন্তর্জাতিক মঞ্চেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে ইসরায়েলকে। যদিও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে ইসরায়েল সরকার।
১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েলের কাছে পরাস্ত হয় মিশর, সিরিয়া এবং জর্ডনের মিলিত বাহিনী। ওই সময়ে সিরিয়ার গোলান মালভূমি চলে যায় ইসরায়েলের দখলে।
পরবর্তী সময়ে অধিকৃত গোলান মালভূমির অনেকটাই প্রতিবেশী দেশকে ফিরিয়ে দেয় ইসরায়েল। তবে গোলান মালভূমির একটা অংশ অবশ্য নিজেদের দখলে রেখে দেয় তারা। সেখানে তৈরি করা হয় বাফার জোন। আমেরিকা ছাড়া দুনিয়ার অধিকাংশ দেশই আংশিক দখলে থাকা গোলান মালভূমিকে ইসরায়েলের অংশ বলে স্বীকৃতি দেয়নি।
এবার বাশারের পতন হতেই আবার সিরিয়ায় হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, সোমবারই নেতানিয়াহু গোলান মালভূমিকে ইসরায়েলের অংশ বলে দাবি করেছেন। এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের হামলাকে গোলান মালভূমিতে পুনরায় দখলের চেষ্টা বলে মনে করছেন অনেকে।