সীমান্ত হত্যার জন্য দুই দেশের চোরাকারবারিদের দায়ী করেছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ মহাপরিচালক নিতিন আগরওয়াল। তিনি বলেছেন, সীমান্ত হত্যা বন্ধে দুই দেশ একমত।
পাঁচদিনব্যাপী বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন শেষে শনিবার (৯ মার্চ) এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, সীমান্তে চোরাকারবারিরা সক্রিয় রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে শুধু বাংলাদেশী নয়, ভারতীয় নাগরিকরাও মারা যাচ্ছে। আত্মরক্ষার জন্যই বিএসএফ গুলি করে বলে জানান তিনি।এছাড়া সীমান্তের অমিমাংসিত বেশ কিছু ইস্যু নিয়ে দুই দেশের সীমান্ত সম্মেলনে আলোচনা হয়েছে বলে জানান বিজিবি মহাপরিচালক। এ সময় দুই দেশের মধ্য যৌথ আলোচনার দলিল সাক্ষরিত হয়।
গত জানুয়ারি মাসে যশোরের শার্শা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্য সিপাহী রইস উদ্দিনের মৃত্যু নিয়ে কথা বলেছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের মহাপরিচালক শ্রী নিতিন আগ্রাওয়াল। এটা টার্গেট কিলিং নয় দাবি করলেও এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দেনটি বিএসএসএফ ডিজি। তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে উভয় দেশ একে অপরকে জানিয়েছে।
রইস উদ্দিনের মৃত্যু নিয়ে বিএসএফ ডিজি শ্রী নিতিন আগ্রাওয়ালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারি রইস উদ্দিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে উভয় দেশকে আমরা জানিয়েছি। ওই দিন আসলে কী ঘটেছিল, আমি আর এ বিষয়ে ব্যাখ্যায় যাবো না।
বিএসএফ ডিজি বলেন, এটা টার্গেট কিলিং নয়। ওই সময় কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় উভয় দিক থেকে বিজিবি ও বিএসএফ দ্বিধা সংশয়ে ছিল। তবে রইস উদ্দিনসহ সব সীমান্ত হত্যার বিষয়ে আমরা কাজ করছি। ক্লোজ মনিটরিং করছি।
নিতিন আগ্রাওয়াল বলেন, এখন আমাদের মূল লক্ষ্য হলো সেটা দুই দেশের পোশাকধারী ও সাধারণ মানুষ হোক আর যেন কারও প্রাণহানি না ঘটে। সেই লক্ষে আমরা একমত হয়েছি এবং কাজ করছি।
গত ৫ মার্চ শুরু হয় বিজিবি-বিএসএফের ডিজি পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন। এতে বিএসএফ ডিজির নেতৃত্বে ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ নয় সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। অপরদিকে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও যৌথ নদী কমিশনের প্রতিনিধিসহ ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।