গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস।যুদ্ধবিরতির জন্য মার্কিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইসরায়েলকে চাপ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল শুক্রবার হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো সদস্য বাসেম নাইম একথা বলেন জানান। তিনি বলেন, যদি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয় এবং ইসরায়েল এটি মেনে চলে তাহলে গাজা ভূখণ্ডে যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত হামাস।
বাসেম নাইম আরও বলেন, ‘আমরা মার্কিন প্রশাসন এবং ট্রাম্পকে আহ্বান জানাই যাতে তারা ইসরায়েলি সরকারকে গাজার ওপর বর্বর হামলা থামাতে চাপ দেয়।’
আজ শনিবার কাতারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা গাজা যুদ্ধের যুদ্ধবিরতি ও বন্দি মুক্তির চুক্তি নিয়ে অপ্রত্যক্ষ আলোচনার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তার ভূমিকা স্থগিত করেছে, যা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকলেও এখনও কোনো সমাধানে পৌঁছানো যায়নি।’
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি একটি বিবৃতিতে বলেন, উভয় পক্ষ তাদের ইচ্ছাশক্তি এবং গম্ভীরতা প্রদর্শন করবে, তখন কাতার এই প্রচেষ্টা আবার শুরু করবে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপর বছরের পর বছর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চালানো নিপীড়ন আরও জোরালো করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেদিনের পর থেকে চালানো সামরিক অভিযানে প্রাণ হারিয়েছে ৪৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত প্রায় এক লাখ। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এমন অবস্থায় সারা বিশ্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে। এই যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চলেও। হিজবুল্লাহ ও হুতিরাও এখন সরাসরি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা করছে।