পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররম জেলায় উপজাতি দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ ১৫ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও সাতজন।
গতকাল শনিবার এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, খাইবার পাখতুনখোয়ার কুররাম জেলার কুঞ্জ আলিজাই এলাকায় দুটি গোত্রের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় দুজন আহত হওয়ার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর সহিংতায় জড়িয়ে পড়ে তারা। কুররামের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) জাভিদুল্লাহ মেহসুদ বলেন, পাকিস্তান–আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে কুঞ্জ আলিজাই পাহাড়ে এবং সেখানকার রাস্তায় গোলাগুলিতে ১৫ জন নিহত হয়েছে।
এ ছাড়া বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উপজাতি কাউন্সিলের সদস্য এবং সাবেক সাংসদ পীর হায়দার আলী শাহ বলেন, উপজাতি গোষ্ঠীর মধ্যে শান্তি চুক্তির জন্য কুররামে উপজাতির গোষ্ঠীর একটি প্রবীন দল এসেছে। তবে সম্প্রাতিক সংঘর্ষের ঘটনাগুলো তাদের মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সবচেয়ে সংবেদনশীল অঞ্চলগুলোর মধ্যে কুররাম জেলা একটি। কেবল সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর বিস্তারের ক্ষেত্রেই নয়, প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলো জমির দাবি নিয়ে এ অঞ্চলে কয়েক দশক ধরে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। নৈসর্গিক পর্যটন স্পটগুলোর কারণে কুবরাম জেলা বেশ জনপ্রিয়। পর্যটকদের আনাগোনা থাকায় জেলার বিভিন্ন এলাকায় হোটেল তৈরি হচ্ছে সেখানে। এতে সেখানে জমি সংক্রান্ত বিরোধ আরও বাড়ছে। গত মাসে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে চলা সহিংসতায় অন্তত ৪৬ জন নিহত এবং ৯১ জন আহত হন। এর আগে জুলাই মাসের সংঘর্ষেও ৪৯ জন প্রাণ হারান।