ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৪২ হাজার।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজা উপত্যকায় পরিবারগুলোর ওপর আরও তিনটি গণহত্যা চালিয়েছে। এতে করে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ জন নিহত এবং আরও ১৩০ জন আহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত নিহতের মোট সংখ্যা ৪২ হাজার ১০ এ পৌঁছেছে। এছাড়া আহতের সংখ্যা বেড়ে ৯৭ হাজার ৭২০ এ পৌঁছেছে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে বা রাস্তায় আটকে আছে। উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
উল্লেখ্য, গেল বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, এই হামলায় প্রায় ১২০০ নিহত ও দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে ওই দিনই গাজায় বিমান হামলা ও পরে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো এ হামলা অব্যাহত আছে
জাতিসংঘের মতে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে ভূখণ্ডের ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সেই সঙ্গে অঞ্চলটির ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
জাতিসংঘ আরও বলছে, দীর্ঘ সময় ধরে চলা সংঘাতের কারণে মানবিক সংকটে দিন পার করছেন ফিলিস্তিনিরা। উপত্যকাটির ২৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দা চরম ক্ষুধা ও ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছেন।
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।