এমপক্স: বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা

এমপক্সের প্রাদুর্ভাবকে দুই বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমপক্স ভাইরাসটি আফ্রিকা মহাদেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং অন্যান্য মহাদেশে ছড়ানোর ঝুঁকি সৃষ্টি হওয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভাইরাল রোগের জন্য তার সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতা জারি করেছে।

বুধবার (১৪ আগস্ট) এমপক্স ভাইরাস সম্পর্কিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি কমিটির বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, এমপক্স খুবই সংক্রামক একটি রোগ। এটি আগে মাঙ্কিপক্স নামে পরিচিত ছিল। গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে চলতি বছর এক্সপক্সে আক্রান্ত হয়ে ৪৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি এখন মধ্য এবং পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিজ্ঞানীরা এই রোগের একটি নতুন রূপ কত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং এর উচ্চ মৃত্যুর হার নিয়ে উদ্বিগ্ন।

ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস বলেছেন, আফ্রিকা এবং তার বাইরে আরও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ‘খুব উদ্বেগজনক’। এই প্রাদুর্ভাব বন্ধ করতে এবং জীবন বাঁচাতে একটি সমন্বিত আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া অপরিহার্য।

ভাইরাসটি ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে সংক্রামিত হয়, যেমন আক্রান্ত ব্যক্তির স্পর্শ ও শ্বাস-প্রশ্বাস থেকে ছড়িয়ে পড়ে অন্যদের আক্রান্ত করতে পারে। এটি শরীরে ফ্লুর মতো উপসর্গ ও পুঁজ-ভরা ক্ষত সৃষ্টি করে।

কঙ্গোতে প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছিল একটি স্থানীয় স্ট্রেনের বিস্তারের সাথে, যা ক্লেড আই নামে পরিচিত। কিন্তু একটি নতুন রূপ, ক্লেড আইবি, যৌন যোগাযোগসহ নিয়মিত ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে আরও সহজে ছড়িয়ে পড়ে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেছেন, ডব্লিউএইচও ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কন্টিনজেন্সি ফান্ড ছেড়েছে এবং আগামী দিনে আরও ফান্ড উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা করছে। এমপক্স কর্মসূচিতে প্রাথমিকভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ফান্ড প্রয়োজন। সংস্থাটি ফান্ডের জন্য দাতাদের কাছে আবেদন করার পরিকল্পনা করেছে।

এমপক্স রোগটি আগে মাঙ্কিপক্স নামে পরিচিত ছিল। ২০২২ সালে এটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। ওই বছরের জুলাই মাসে মাঙ্কিপক্সকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।