ইসরাইলের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহর হামলা, হতাহত অনেক

ইসরাইলের সামরিক অবস্থানের বিরুদ্ধে হামলা বাড়িয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। গাজার জনগণ এবং লেবাননে ইসরাইলের চলমান নৃশংসতার প্রতিক্রিয়ায় হিজবুল্লাহ রোববার ভোরে ইসরাইলের বেশ কয়েকটি ঘাঁটিতে হামলা চালায়। এদিন এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, এই হামলাগুলো রোববার সকালে চালানো হয় এবং ইসরাইলের মানারা বসতিতে সমবেত হওয়া একটি সৈন্যদলকে রকেট হামলার মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তু করা হয়। এছাড়াও রামিয়া ঘাঁটিতে অবস্থানরত ইসরাইলি সেনাদের লক্ষ্য করেও ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়। যার ফলে সেখানে বহু সৈন্য হতাহত হয়েছে। একই ঘাঁটির অবস্থানরত আরও বেশ কয়েকজন ইসরাইলি সেনাও হতাহত হয়েছে, যখন তাদের সাঁজোয়া গাড়িতে ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে সরাসরি আঘাত করা হয়। হিজবুল্লাহ আরও জানায়, ইসরাইলের তেল শা’আর ঘাঁটিতে একটি কামানের গোলা হামলা এবং মি’ইলিয়া ঘাঁটিতে রকেট হামলা চালানো হয় এবং ইসরাইলের একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্ল্যাটফর্ম ধ্বংস করা হয়। এদিকে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা দক্ষিণ লেবাননের রামিয়া গ্রামে প্রবেশের চেষ্টা করা ইসরাইলি সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা একটি বিস্ফোরক ডিভাইসের মাধ্যমে হামলা চালায়, যাতে বেশ কিছু ইসরাইলি সেনা হতাহত হয়েছে। মধ্যম-পরিসরের অস্ত্র এবং মেশিনগান ব্যবহার করা এই সংঘর্ষ এখনও চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে হিজবুল্লাহ। হিজবুল্লাহ তাদের হামলা আরও তীব্র করেছে, যখন ইসরাইল লেবাননের ওপর বিমান হামলা বাড়িয়েছে এবং দক্ষিণ লেবাননে একটি স্থল অভিযান চালিয়েছে। যার ফলে সেখানে শত শত বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরে ইসরাইল লেবাননে হামলা বাড়িয়ে দেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ১,৬৪৫ জন নিহত হয়েছে। আর এ নিয়ে গত এক বছরে লেবাননে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় মোট ২,২৫৫ জন নিহত হয়েছে। সূত্র: ইরনা ও আল-মায়াদিন