ইউনের ভবিষ্যৎ নিয়ে আদালতে শুনানি

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে তলব করেছেন দেশটির আদালত। সামরিক আইন জারির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে তাকে।

সোমবার দেশটির সাংবিধানিক আদালতে প্রেসিডেন্টকে অপসারণ বা পুনর্বহালের বিষয়ে মামলার শুনানি শুরু হয়েছে।

সাংবিধানিক আদালত মামলাটি নিয়ে আলোচনায় বসেন। রায় দেওয়ার জন্য আদালতের হাতে ১৮০ দিন পর্যন্ত সময় রয়েছে। তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই রায় আরও দ্রুত আসতে পারে। এপি।

মূলত প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার অপব্যবহার রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করতে পুলিশ, দুর্নীতি দমন সংস্থা ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি যৌথ প্রতিনিধি দল গঠিত হয়েছে। ইউনকে বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উপস্থিত হতে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। গত শনিবার ইউনের বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব পার্লামেন্টে অনুমোদিত হয়। ৩ ডিসেম্বর তার সামরিক আইন জারির সিদ্ধান্তের কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। প্রেসিডেন্ট হিসাবে তার ক্ষমতা আপাতত স্থগিত রয়েছে।

সাংবিধানিক আদালত এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত তা বহাল থাকবে। ইউন অপসারিত হলে ৬০ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে দেশটিতে। সামরিক আইন জারি ঘোষণার পর থেকে সিউলে লাখো মানুষ ইউনের পদত্যাগ ও গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে।

নিজের সিদ্ধান্তের সাফাই গেয়ে ইউন বলেছেন, প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি একটি রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি। তাদের সামলে শাসন পরিচালনার জন্য সামরিক আইন জারি করা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি।

এ ছাড়া, অভিশংসনের বিরুদ্ধে শেষ ‘পর্যন্ত লড়াই’ করার অঙ্গীকার করেছেন ইউন। তদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদের অনুরোধে ইউন সাড়া দেবেন কিনা তা এখনো অস্পষ্ট। একটি আলাদা তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রোববার ইউনকে প্রসিকিউশন কার্যালয়ে তলব করা হয়। কিন্তু সেখানে উপস্থিত হতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। এর আগে, ইউনের কার্যালয়ে পুলিশের তল্লাশি প্রচেষ্টাতে বাধা দিয়েছিল প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা বাহিনী।

 

সূত্র: যুগান্তর