পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সোমবার ইউক্রেন সফর করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ। এই সফরে কিয়েভকে ৬৮৫ মিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
সোমবার সফরের ঘোষণা দিয়ে এক বিবৃতিতে স্কোলজ বলেন, “এই মাসেই ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়া হবে।”
আল জাজিরা খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রায় ৩০ শতাংশ ভূখণ্ড রাশিয়ার দখলে রয়েছে। দেশটি তার ভূখণ্ড রক্ষার জন্য নতুন প্রচেষ্টা শুরু করেছে।
আর এই অবস্থায় কিয়েভের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে জার্মানি। এই যুদ্ধে জার্মানি যে আগামীতেও ইউক্রেনকে সমর্থন দেবে স্কোলজের এই সফর সেটিরই আশ্বাস।
এ প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে স্কোলজ বলেন, “আমি আজ কিয়েভ ভ্রমণ করছি: ট্রেনে করে এমন একটি দেশের মধ্য দিয়ে যেটি ১০০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজেকে রক্ষা করছে।”
চলতি সপ্তাহে ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিতব্য ন্যাটো জোটের বৈঠকে ইউক্রেনকে এই সামরিক জোটে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে জার্মানি ন্যাটোর ওপর চাপ বাড়াবে বলে জানিয়েছে।
বেয়ারবক বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদিকদের বলেন, “চীনা কারখানার ড্রোন এবং উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা ইউরোপের কেন্দ্রে শান্তিতে আক্রমণ করে আমাদের মূল ইউরোপীয় নিরাপত্তা স্বার্থ লঙ্ঘন করছে।”
এদিকে, ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, রবিবার রাতভর রাশিয়া ১১০টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে একটি ড্রোন পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর টারনোপিলের একটি আবাসিক ভবনে আঘাত হেনেছে। এতে একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনী আরও জানিয়েছে, তারা ১১০টি ড্রোনের মধ্যে ৫২টিকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে এবং ৫০টি ড্রোনের ক্ষতি করেছে। একটি ড্রোন ইউক্রেনের আকাশসীমায় রয়ে গেছে এবং ছয়টি ড্রোন বেলারুশ ও রাশিয়ার দিকে চলে গেছে।