আল-শিফা হাসপাতালে তিন নার্স নিহত

গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল কার্যত এখন অবরুদ্ধ। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের দাবি, আল-শিফা হাসপাতালঘিরে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেইসঙ্গে এই হাসপাতালের এক ওয়ার্ড থেকে আরেক ওয়ার্ডে কেউ মুভমেন্ট করলেই গুলি চালাচ্ছে ইসরায়েল।

জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আল-শিফা হাসপাতালে তিনজন নার্স নিহত হয়েছে। এ ছাড়া গত ১১ নভেম্বর বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ১২ জন রোগী মারা গেছে। এর মধ্যে রয়েছে দুইজন শিশু।

এর আগে বিবিসির এক প্রতিবেদন জানায়, গাজার সব প্রধান হাসপাতাল আল-শিফা, আল-কুদস, আল-রানতিসি এবং ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের একেবারে কাছে এখন ইসরায়েলি বাহিনী অবস্থান নিয়েছে।

ইসরায়েল বারবার অভিযোগ করে আসছে, আল-শিফা হাসপাতালের নিচের টানেলে হামাস অবস্থান করছে। তবে ইসরায়েলের এ দাবি অস্বীকার করেছে হামাস।

হামাস চালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছে গাজায়, যার মধ্যে প্রায় সাড়ে চার হাজারই শিশু। অন্যদিকে ইসরায়েল তাদের মৃত্যুর তালিকা সংশোধন করে প্রকাশ করেছে। এতদিন তারা মৃতের সংখ্যা ১৪০০ বললেও গত শুক্রবার দেশটির কর্তৃপক্ষ জানায়, নিহতের আসল সংখ্যা ১২০০ জন।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লায়র হাইয়াত বলেন, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পরপরই যারা মারা যায় তাৎক্ষণিক তাদে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি এবং এখন তারা মনে করে ওগুলো ইসরায়েলিদের নয় বরং হামাস সন্ত্রাসীদের মৃতদেহ।