আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন মমতা

আরজি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। সোমবার ছিল এর সপ্তম দিন। একটা সমাধানে পৌঁছাতে এদিন সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। সন্ধ্যা ৭টায় বৈঠক শুরু হয়ে চলে রাত ১২টা পর্যন্ত।

বৈঠক শেষে মমতা বলেন, চিকিৎসকদের দাবি মেনে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে মঙ্গলবারই সরানো হচ্ছে বিনীত গোয়েলকে। শুধু তাই নয়, চিকিৎসকদের দাবি মেনে নিয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তাকেও অপসারণ করা হচ্ছে। তিন জনকেই অন্য পদে দায়িত্ব দেওয়া হবে।

মমতা জানান, আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের অধিকাংশ দাবিই তারা মেনে নিয়েছেন। এবার আশা করছেন, আন্দোলনকারীরা কাজে ফিরবেন।

মমতার কথায়, ৯৯ শতাংশ দাবি মেনে নিয়েছি। আর কী করব!

তিনি জানান, জুনিয়র ডাক্তারদের পাঁচটি দাবির প্রথমটি সিবিআই এবং আদালতের বিষয়। বাকি চারটির মধ্যে তিনটিতে সায় দিয়েছে তার সরকার। আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে বিনীত গোয়েলকে সরানো হবে। পাশাপাশি, চিকিৎসকদের দাবি মেনে কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (উত্তর) অভিষেক গুপ্তকেও সরানো হচ্ছে। সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কৌস্তভ নায়েক, স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা দেবাশিস হালদারকেও।

মমতা বলেন, আমরা কাউকে অশ্রদ্ধা, অসম্মান করিনি। কিন্তু ওদের বিরুদ্ধে যেহেতু চিকিৎসকদের ক্ষোভ আছে, বলেছেন, ওদের ওপর আস্থা নেই, তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি এ-ও জানান, চিকিৎসকদের দাবি মতো কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে সরকার। তিনি বলেন, প্রায় ৬টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বৈঠক হয়েছে। ওদের পক্ষ থেকে ৪২ জন সই করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে মিনিটসে সই করেছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। আমরা অভিনন্দন জানিয়েছি চিকিৎসকদের। আমরা খুশি যে, তারাও খুশি। ওরা বক্তব্য রাখতে চেয়েছিলেন। সেই সুযোগ দিয়েছি। আমরাও আমাদের বক্তব্য রেখেছি।

একইসঙ্গে চিকিৎসকদের উদ্দেশে মমতার বার্তা প্লিজ, এবার কাজে ফিরুন।

সূত্র: আনন্দবাজার।