ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে ছয় বছরের বেশি সময় পর রাষ্ট্রপতি শাসনের অবসান হলো। রোববার কেন্দ্রের পক্ষ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে এই তথ্য জানানো হয়েছে। আজ জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) নেতা ওমর আবদুল্লাহ।
বুধবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় শপথ নেবেন ওমর আবদুল্লাহ। খবর পিটিআইয়ের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে গত শুক্রবারই জম্মু ও কাশ্মীরের লেফট্যানান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছিলেন ওমর আবদুল্লাহ। ইতোমধ্যে দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর স্বাক্ষরিত নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
তাতে বলা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন, ২০১৯-এর ৭৩ নং ধারা, সংবিধানের ২৩৯ ও ২৩৯এ ধারা অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগের আগে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে কারফিউ জারি করা হয়েছিল। তবে তার আগেই সেখানে জারি ছিল রাষ্ট্রপতি শাসন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পরে জম্মু ও কাশ্মীরে পিডিপির সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। তবে সেই সরকারের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই বিজেপি সমর্থন প্রত্যাহার করেছিল মেহবুবা মুফতির থেকে। ফলে সরকার পতন হয়। ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে দেওয়া হয়। রাজ্যের মর্যাদাও হারায় জম্মু ও কাশ্মীর।
এদিকে ভোটে জেতার পরই ওমর আবদুল্লাহ স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রের এই মোদি সরকারের কাছে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের দাবি জানানো বোকামি। এ নিয়ে ওমর বলেছিলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক অবস্থান বদলাবে না। আমরা কখনও বলিনি যে ৩৭০ ধারার বিষয়ে আমরা নীরব থাকব বা এটি আমাদের জন্য আর কোনো ইস্যু নয়। কিন্তু আমরা জনগণকে বোকা বানানোর জন্য প্রস্তুত নই। আমি সবসময় বলেছি, যারা এই ৩৭০ ধারা বাতিল করেছে, সেই লোকদের কাছ থেকে এটি ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশা করা বোকামি। এটা মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার মতো। তবে আমরা এই ইস্যুটিকে বাঁচিয়ে রাখব… আমরা আশা করি একদিন সরকার পরিবর্তন হবে। প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন হবে এবং এমন একটি সরকার হবে যার সঙ্গে আমরা এই বিষয়ে কথা বলতে পারব এবং জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য কিছু অর্জন করতে পারব।’
সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোট ৯০টি আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনে জিতেছে।