বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকায় গত এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৮ মাসে কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) হামলায় ৭ সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন।
এই সময়ে বিশেষ অভিযান চালিয়ে কেএনএ’র ১৭৯ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ৬০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীর সেনা অফিসার্স মেসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান। তিনি জানান, গত দুই সপ্তাহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে শিল্পাঞ্চলে ৪০টি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও ১৮টি সড়ক অবরোধের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রেখেছে সেনাবাহিনী। শিল্পাঞ্চল ছাড়াও ৬৩টি বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। গত ১৩ নভেম্বর থেকে চলমান অভিযানে ২২৮ জন মাদক ব্যবসায়ী ও অন্যান্য ঘটনায় ১ হাজার ৩২৮ জনকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী।
কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত অরাজকতা প্রতিরোধ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা, বিদেশী কূটনৈতিক ব্যক্তি-দূতাবাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, রাষ্ট্রের কেপিআই ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষা, কল-কারখানা সচল রাখা, অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার এবং চিহ্নিত অপরাধী ও নাশকতামূলক কাজের ইন্ধনদাতাদের গ্রেফতার করাসহ দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী সার্বিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে। তিনি আরো বলেন, সেনাবাহিনীর এই কর্মধারা বিনা বাধায় সম্পন্ন হয়নি।
২০ জুলাই থেকে অদ্যাবধি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালনকালে সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা শাহাদত বরণ করেছেন। ৯ জন কর্মকর্তাসহ ১২২ জন বিভিন্ন মাত্রায় আহত হয়েছেন। মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের এ কর্মকর্তা বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে যেসব চক্রান্ত হচ্ছে সেগুলো রুখতে জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে। শিক্ষার্থীদেরও আন্দোলনের বিষয়ে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। সব ঘটনার প্রতিবাদ সহিংসভাবে করতে হবে, তা নয়। দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির পেছনে যারা ইন্ধন যুগিয়েছেন তাদের খুঁজে বের করা হবে। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে দেশের মানুষকে আরো সচেতন হতে হবে। ডেইলি-বাংলাদেশ