মেট্রোরেল মামলায় রিজভী-পারওয়ার-নুরসহ ৪৭ জনকে অব্যাহতি

মেট্রোরেল ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা থেকে রুহুল কবির রিজভী রিজভী, মিয়া গোলাম পারওয়ার, নুরুল হক নুরসহ ৪৭ জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার ঢাকা সিএমএম আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর জানান, মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের হওয়া তিন মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত।

মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া  গোলাম পারওয়ার, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ৪৭ জন মামলার দায় থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।

সম্প্রতি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের অব্যাহতি দিয়েছেন।

অব্যাহতি পাওয়া উল্লেখযোগ্য অপর আসামিরা হলেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক এমএ সালাম, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম ও ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ ওরফে সাঈদ খান।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, কাফরুল থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান মুন্সি ১৪ আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন।

মিরপুর মডেল থানার এক মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা সিটিটিসির পরিদর্শক মো. মতলুবর রহমান ১৩ আসামি এবং অপর মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সিকদার মহিতুল আলম ২০ আসামির অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।

এর আগে গত ২২ জুলাই ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের এমআরটি লাইন-৬ এর উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. ইমাম উদ্দীন কবীর বাদী হয়ে কাফরুল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তিনি অজ্ঞাতনামা ছয় হাজার আসামি উল্লেখ করেন। এছাড়া কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনের কাফরুল থানার আওতাধীন অংশে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগে ৫০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ করেন।

পরে গত ২৩ জুলাই ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের এমআরটি লাইন-৬ এর নিরাপত্তা ব্যবস্থাপক মো. গোলাম রসূল আজাদ বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনের মিরপুর থানার আওতাধীন অংশে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগে ৫০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।

পরবর্তীতে গত ২৪ জুলাই উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. ইমাম উদ্দীন কবীর বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তিনি ২শ’ ৫০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া অজ্ঞাতনামা নয় হাজার জনকে আসামি করেন।