চামড়া পাচার রোধে বেনাপোলের বিভিন্ন সীমান্তে সতর্কতা জারি

ভারতে কাচা চামড়া পাচার রোধে বেনাপোলের বিভিন্ন সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছেন বিজিবি সদস্যরা। সীমান্তগামী কোনো যানবাহনকে যেতে দিচ্ছে না বিজিবি।

যশোর-৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ জামিল আহমেদ সতর্কতার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বর্তমানে দেশে চামড়ার বাজার মূল্য তুলনামূলক কম। চামড়ার বাজার মূল্য কম থাকায় বেশি মুনাফার আশায় কাচা চামড়া ভারতে পাচারের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। পাচার হওয়ার সম্ভাব্য সীমান্তগুলোতে বিজিবি টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

কোরবানির পর দেখা যায়, ৫ মণ ওজনের একটি গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকা। আবার ১০ মণ ওজনের গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পাঁচ মণ ওজনের একটি গরুর চামড়া ৮০০ থেকে এক হাজার রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ১০ মণ ওজনের একটি গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকায়।

কাঁচা চামড়া পাচারের ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্ত গুলো হচ্ছে বেনাপোলের সাদিপুর, গাতীপাড়া, বড়আঁচড়া, রঘুনাথপুর, পুটখালী, ঘিবা, ধান্যখোলা। শার্শা উপজেলার গোগা, কায়বা, অগ্রভুলোট, রুদ্রপুর, শালকোনা, কাশিপুর, শিকারপুর এবং শাহজাতপুর সীমান্তাঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।

বেনাপোল লতিয়া ইয়াছিন এতিমখানার শিক্ষক রেজাউল ইসলাম জানান, স্থানীয় লোকজন কোরবানির পশুর চামড়া এতিমখানায় দান করেছেন। কিন্তু এবার চামড়ার দাম খুবই কম।

লে. কর্নেল মোহাম্মদ জামিল বলেন, সীমান্ত দিয়ে ভারতে চামড়া পাচার রোধে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টে বিজিবির ছোট ছোট পোস্টগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে রাতে টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারদের চামড়া পাচার রোধে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।