রাজধানীর পল্টনে ‘মার্চ ফর খেলাফতের’ মিছিল থেকে গ্রেপ্তার নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের ১৭ সদস্যের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার (৮ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা রহমানের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন-আব্দুল্লাহ, তরিকুল ইসলাম, আহমেদ নাফিস মোর্শেদ, শাহাদাত হোসেন, তানভির মাহতাব রাফাত, আবু শোহাইব, আশফাক আহম্মেদ, সাব্বির হোসাইন, রিফাত ইসলাম রিশাদ, আল রাফি সাজ্জাদ, রেদোয়ান বিন শহিদুল, মিয়াজী আব্দুল্লাহ আল মুত্তাকী, হাবিবুর রহমান, হেলাল উদ্দিন, আসাদুজ্জামান নূর, তানিম সিকদার সিহাব, আহমেদ নাসিফ কবির কাব্য।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর নূর ইসলাম সংশ্লিষ্ট থানায় করা সন্ত্রাস বিরোদ আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধীতা করে।
শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। পল্টন মডেল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর মো. রোকনুজ্জামান রিমান্ডের তথ্য নিশ্চিত করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ৭ মার্চ দুপুর ২টার দিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে অজ্ঞাতনামা দুই হাজার থেকে দুই হাজার দুইশ জন ব্যক্তি ‘মার্চ ফর খেলাফত’, হিযবুত তাহরীর, উলাইয়াহ্ বাংলাদেশ ব্যানারে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সদস্যরা মিছিল বের করে। এরপর তারা পল্টন মোড়ের দিকে যেতে থাকলে পুলিশ বাধা দেয়। আসামিরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে দুপুর ২টা ১০ মিনিটের দিকে পল্টন মডেল থানার এল মল্লিকের সামনে পাকা রাস্তার ওপর সরকারবিরোধী, দেশের সার্বভৌমত্বকে আঘাত করার প্রয়াসে পতাকা, ব্যানার, লাঠিসোটা নিয়ে শ্লোগান দিয়ে মিছিল করতে থাকে। তখন পল্টন মোড় এলাকায় ডিউটিরত পুলিশ ফোর্স মিছিল বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
আরো বলা হয়, তখন পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ জানমাল রক্ষার্থে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অবৈধ মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।তবুও নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ অব্যাহত রাখে। এরপর আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে তাদের ব্যবহৃত পতাকা, শ্লোগান ও আনুষঙ্গিক কার্যক্রম দেখে নিশ্চিত হওয়া যায়, তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সক্রিয় সদস্য ও সমর্থক। তাদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এদিকে, এ ঘটনায় পল্টন থানায় উপপরিদর্শক রাসেল মিয়া বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করেন।