সংকটের ধাক্কায় অনলাইনেও বেচাবিক্রি কমে গেছে

করোনাকালে সায়রা ইসলাম প্রতিদিনই খাবার কিনতেন অনলাইনে। দীর্ঘদিন অনলাইনে খাবার কিনতে কিনতে অনেকটাই তা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় তাঁর। এখন তিনি সপ্তাহে এক বা দুবার অনলাইনে খাবারের ক্রয়াদেশ দেন। এ ছাড়া অনলাইনে অন্যান্য কেনাকাটায়ও লাগাম টেনেছেন সায়রা ইসলাম। নিতান্ত দরকার না হলে অনলাইনে কেনাকাটা কমিয়ে দিয়েছেন তিনি। সায়রা ইসলাম বলেন, পরিস্থিতির কারণে এখন একটু বুঝে চলতে হচ্ছে।

করোনার কারণে অনলাইন কেনাকাটায় মানুষের আগ্রহ যেভাবে বেড়েছিল, সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা সেখানেও বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। তাতে ই–কমার্স, এফ–কমার্স (ফেসবুকভিত্তিক) বা ডিজিটাল কমার্স খাতে ব্যবসা কমে গেছে। দেশে ডিজিটাল কমার্সের বার্ষিক বাজার এখন ৩২ কোটি টাকার বেশি। ক্রেতা আছেন দেড় কোটির মতো। ডিজিটাল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধারণা ছিল, করোনা–পরবর্তী স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পরও প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে। কিন্তু করোনা শেষ হতে না হতেই রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ, উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপসহ পুরো বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয়। বাংলাদেশেও তার ধাক্কা লাগে। তাতে গত ছয় মাসে এ খাতে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বিক্রি কমে গেছে। খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, চলতি বছর পরিস্থিতির উন্নতির কোনো আশা দেখছেন না তাঁরা।