শুল্ক কমানোর পরেও কমছে না পেঁয়াজের দাম

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। গত দুদিনের তুলনায় পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। এসব পেঁয়াজ নতুন শুল্ক ২০ শতাংশ দিয়েই আমদানি হচ্ছে। তবুও কমেনি পেঁয়াজের দাম।

কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি মোকামে প্রতি কেজি ভারতীয় ইন্দর জাতের পেঁয়াজ ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৮৭ টাকায় এবং নাসিক ৩ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন বন্দরে আসা পাইকাররা।

অন্যদিকে হিলির খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়জি ১০৫ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে। দাম না কমার কারনে হতাশা প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। শুক্রবার সকালে হিলির বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা মিনারুল ইসলাম বলেন, দুই দিন আগেই শুনলাম পেঁয়াজের দাম কমেছে। যার জন্য বাজারে আজ পেঁয়াজ কিনতে আসলাম। এসে দেখি সব ধরনের পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে শুল্ক কমিয়েছে ভারত সরকার সেখানে তো পেঁয়াজের দাম অর্ধেকে আসার কথা। কিন্তু বাজারে তার উল্টো চিত্র। প্রতিদিন যদি সব নিত্যপণ্যের দাম এভাবে বৃদ্ধি পায় তাহলে আমরা কিভাবে চলবো।

হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল মাহমুদ বলেন, বন্দরে পেয়াজের দাম বেশি। তবে কি কারনে বেশি তা আমরা জানিনা। আমরা বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি। যদি ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পায় তাহলে দেশি পেঁয়াজের দামও বৃদ্ধি পাবে।

হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে, চলতি সপ্তাহের তিন দিনে ভারতীয় ৩৪ ট্রাকে প্রায় ১ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।