পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠি

পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে আমদানির অনুমতি (আইপি) প্রদানের ব্যবস্থা নিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম নিয়ন্ত্রক শামীমা আকতার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশক্রমে জানানো যাচ্ছে যে, খুচরা বাজারে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে। উল্লেখ্য, টিসিবির তথ্যানুযায়ী প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম একমাস আগে ৩০ টাকা ছিল, যা গত সপ্তাহে ৫০ টাকা করে বিক্রি হয়েছে এবং বর্তমানে ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি করে স্থিতিশীল করার উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

এমতাবস্থায়, পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল করার স্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হলো।

এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম নিয়ন্ত্রক শামীমা আক্তার বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে খোলা বাজারে পেঁয়াজের দাম অনেক বেশি বেড়েছে। যেহেতু বাজারদর নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মনিটরিং করে সেহেতু আমরা বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কৃষি মন্ত্রণালয়কে পেঁয়াজ আমদানির অনুরোধ জানিয়েছি। তারা মজুদ এবং চাহিদা বিশ্লেষণ করে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারে। তবে প্রাথমিকভাবে কী পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হবে এবং কবে নাগাদ আমদানি করা হবে- এসব বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

এদিকে, রোববার (২১ মে) সকালে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক সচিবালয়ে তার অফিসকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, স্থানীয়ভাবে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে দ্রুত ভারত থেকে আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ৪৫ টাকার বেশি পেঁয়াজের দাম হওয়া উচিত নয়। পেঁয়াজ আমদানি করা হলে ৪৫ টাকার নিচে চলে আসবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, সবকিছুর একটা ধারাবাহিকতা থাকে, কিন্তু গত এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দামে সে ধারাবাহিকতা রাখা যায়নি। সাধারণত বাজার সাপ্লাই এবং ডিমান্ডের ওপর নির্ভর করে। গত বছর পর্যাপ্ত পেঁয়াজ থাকা সত্ত্বেও কিছু অসাধু আড়ৎদারের কারণে গুদামে অনেক পেঁয়াজ পচে গেছে।