ঝুলে আছে সোয়া ২ লাখ মামলা, নিষ্পত্তির দাবি উঠছে ব্যাংকার্স সভায়

ব্যাংক খাতে ভয়ানক থাবা খেলাপি ঋণ। বড় অংকের খেলাপির অর্থ ঝুলে আছে ঋণ আদালতে। এ আদালতে খেলাপি ঋণের মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় সোয়া দুই লাখ। তাতে আটকে আছে দুই লাখ ৪৯ হাজার কোটি টাকা। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় দীর্ঘসময় আটকা রয়েছে এসব অর্থ। আটকে থাকা বড় অংকের অর্থ উদ্ধারে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি সংশ্লিষ্টদের।

রোববার (২ এপ্রিল) সকালে ব্যাংক নির্বাহীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে ব্যাংকার্স সভা। বাংলাদেশে ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ সভার আলোচ্যসূচিতে বিষয়টি রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সভায় তফসিলভুক্ত ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মামলা নিষ্পত্তি বিষয়ে মতামত দেবেন বলে জানা গেছে। সভার আলোচ্যসূচিতে রয়েছে সব ব্যাংকের বাংলা কিউআর কোড চালু, নতুন অর্থবছরের মুদ্রানীতিসহ বিবিধ বিষয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে খেলাপি ঋণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। এ ঋণ কমাতে কমাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা (আইএমএফ) তহবিলের চাপ রয়েছে। খেলাপি নিয়ে দেশের অভ্যন্তরেও নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়। তবুও তা কমানো যাচ্ছে না।

অর্থ ঋণ আদালতে মামলার দীর্ঘসূত্রিতার সুযোগে অনেক গ্রাহক ইচ্ছে করেই খেলাপি হয়ে যাচ্ছেন। এতে লাগামছাড়া হয়ে পড়ছে খেলাপি ঋণ। এটি কমাতে আদালতের সংখ্যা বাড়িয়ে দ্রুত মামলা নিস্পত্তির দাবি জানাচ্ছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

গত ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থ ঋণ আদালতে দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় দুই লাখ ২২ হাজার। এসব মামলায় আটকে রয়েছে দুই লাখ ৪৯ হাজার কোটি টাকা। এখন পর্যন্ত অর্থ ঋণ আদালতে দেড় লাখ মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে, যাতে অর্থের পরিমাণ ৮২ হাজার কোটি টাকা।

তবে এর মধ্যে প্রকৃত আদায়ের পরিমাণ ২১ হাজার কোটি টাকা। আর গত ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থ ঋণ আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৭২ হাজার, যার বিপরীতে আটকা অর্থের পরিমাণ এক লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকা।