২০২২ কাতার বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পাঁচমাস পূর্ণ হলো আজ। ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে ২০২৬ বিশ্বকাপের তোড়জোড়। এটি হবে ফুটবল বিশ্বকাপের ২৩তম আসর। যেটির স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা। ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই বিশ্বকাপের লোগো উন্মোচন করেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ফিফা)।
বুধবার (১৭ মে) এই লোগো উন্মোচন করেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো এবং ব্রাজিলিয়ান ফুটবল গ্রেট রোনাল্ডো নাজারিও।
প্রথমবারের মতো এই আসরে অংশ নেবে ৪৮ দল। ১২টি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে তারা। প্রতি গ্রুপে থাকবে ৪টি দল। প্রত্যেক গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুই দল পরের পর্বে যাবে। তাদের সঙ্গে যোগ দেবে ১২টি গ্রুপ থেকে তৃতীয় হওয়া দলগুলোর মধ্যে সেরা ৮ দল। মোট ৩২ দলকে নিয়ে হবে রাউন্ড অব থার্টি টু। সেখান থেকে রাউন্ড অব সিক্সটিন, কোয়ার্টার, সেমির পর ফাইনাল।
এবার চ্যাম্পিয়ন হতে হলে আগের চেয়ে ১ ম্যাচ বেশি খেলতে হবে। মোট ৮ ম্যাচে লড়তে হবে। সব মিলিয়ে ম্যাচের সংখ্যা ৬৪ থেকে বেড়ে হচ্ছে ১০৪টি।
বিশ্বকাপের ২৩তম আসরের লোগোর মাধ্যমে একটি বার্তা দিতে চেয়েছে ফিফা। সদ্য উন্মোচন হওয়া লগোটির বার্তা ‘আমরা ২৬’। ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছেন, ‘আমরা-২৬ হলো পুনরায় সমবেত হওয়ার আকুতি। এটি এমন এক মুহূর্ত যেখানে তিনটি দেশ এবং পুরো মহাদেশ সমবেত কণ্ঠে বলছে, বিশ্বকে স্বাগত জানাতে আমরা এক এবং ফুটবলের সবচেয়ে বড়, ভালো বিশ্বকাপ উপহার দিতে চলেছি।’
ইনফান্তিনো আরও বলেন, ‘টুর্নামেন্টটি প্রতিটি আয়োজক দেশ এবং অংশগ্রহণকারী দলকে ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাস বইতে নিজেদের ইতিহাস লিখতে সক্ষম করবে এবং এই অনন্য ব্র্যান্ডটি ২০২৬-এর পথে একটি বড় পদক্ষেপ।’
২৩তম আসরের মহাযজ্ঞের পর্দা ওঠার কথা রয়েছে ২০২৬ সালের ১১ জুন (বৃহস্পতিবার) । ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের ১৯ জুলাই (রোববার) মোট ৫৬ দিন চলবে এ যুদ্ধ। তবে তার আগে ২০২৬ সালের ২৫ মে’র মধ্যে চূড়ান্ত খেলোয়াড়দের তালিকা দিতে হবে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে।
১৯৮৬ ও ১৯৯৪ বিশ্বকাপে ২৪টি করে দল অংশগ্রহণ করে। পরে ১৯৯৮ থেকে ৩২টি করে দল দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে অংশ নিয়ে আসছিল। এবার সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮টিতে।
এদিকে ২৩তম আসরটি তিন দেশের মোট ১৬টি মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি, মেক্সিকোর ৩টি ও কানাডার ২টি মাঠে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
যে মাঠগুলোতে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে
এস্তাদিও আজতেকা, মেক্সিকো সিটি (মেক্সিকো), দর্শক ধারণক্ষমতা ৮৭ হাজার ৫২৩।
এস্তাদিও বিবিভিএ বানকোমার, মন্তেরেই (মেক্সিকো), দর্শক ধারণক্ষমতা ৫৩ হাজার ৫০০।
এস্তাদিও আকরোন, গুয়াদালাহারা (মেক্সিকো), দর্শক ধারণক্ষমতা ৫০ হাজার।
লুমেন ফিল্ড স্টেডিয়াম, সিয়াটল (যুক্তরাষ্ট্র), দর্শক ধারণক্ষমতা ৬৯ হাজার ৯০০।
লেভিস স্টেডিয়াম, সান ফ্রান্সিসকো বে (যুক্তরাষ্ট্র), দর্শক ধারণক্ষমতা ৬৮ হাজার ৫০০।
সোফি স্টেডিয়াম, লস অ্যাঞ্জেলস (যুক্তরাষ্ট্র), দর্শক ধারণক্ষমতা ৭০ হাজার।
অ্যারোহেড স্টেডিয়াম, কানসাস সিটি (যুক্তরাষ্ট্র), দর্শক ধারণক্ষমতা ৭৬ হাজার ৪১৬।
এটি অ্যান্ড টি স্টেডিয়াম, ডালাস (যুক্তরাষ্ট্র), দর্শক ধারণক্ষমতা ৮০ হাজার।
মার্সিডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়াম, আটলান্টা (যুক্তরাষ্ট্র), দর্শক ধারণক্ষমতা ৭১ হাজার।
এনআরজি স্টেডিয়াম, হিউস্টন (যুক্তরাষ্ট্র), দর্শক ধারণক্ষমতা ৭১ হাজার ৭৯৫।
জিলেট স্টেডিয়াম, বোস্টন (যুক্তরাষ্ট্র), দর্শক ধারণক্ষমতা ৬৫ হাজার ৮৭৮।
লিঙ্কন ফিন্যান্সিয়াল স্টেডিয়াম, ফিলাডেলফিয়া, (যুক্তরাষ্ট্র), দর্শক ধারণক্ষমতা ৬৯ হাজার ১৭৬।
হার্ড রক স্টেডিয়াম, মায়ামি (যুক্তরাষ্ট্র), দর্শক ধারণক্ষমতা ৬৪ হাজার ৭৬৭।
মেটলাইফ স্টেডিয়াম, নিউইয়র্ক (যুক্তরাষ্ট্র), দর্শক ধারণক্ষমতা ৮২ হাজার ৫০০।
বিএমও ফিল্ড, টরন্টো (কানাডা), দর্শক ধারণক্ষমতা ৩০ হাজার।
বিসি প্লেস, ভ্যানকুভার (কানাডা), দর্শক ধারণক্ষমতা ৫৪ হাজার ৫০০।